দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে শান্তি কুমার ঘোষ (৬০) নামের এক সংখ্যালঘু বৃদ্ধকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার বিকালে উপজেলার কামারাবাদ বিলে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী বৃদ্ধ দেবহাটার জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত দীনবন্ধু ঘোষের ছেলে। এ ঘটনায় লাঞ্চিতের শিকার বৃদ্ধের বড় ভাই রনজিত কুমার ঘোষ (৭২) বাদী হয়ে দেবহাটা থানা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
রনজিত ঘোষ তার অভিযোগে জানায়, এক যুগেরও বেশি সময় ধরে রনজিতের পরিবার ও আষ্কারপুরের করিমউল্লাহ সরদারের পরিবার পারষ্পারিক সম্পর্কের খাতিরে উভয়ে তাদের ৫৫ শতক জমি বিনিময় করে কামারাবাদ বিলে পৃথক মৎস্য ঘের করে আসছিল। করিমউল্যাহ সরদারের মৃত্যুর পর তার ছেলে আব্দুল খালেক তাদের মৎস্য ঘের দেখাশুনা করেন। সম্প্রতি খালেকের ঘেরের মধ্যে থাকা রনজিতের পরিবারের বিনিময়কৃত জমিটি খাস খতিয়ানে অর্ন্তভূক্ত করে নেয় সরকার। এরপর থেকে ওই সরকারি জমি ঘেরের মধ্যে নিজেদের দখলে রাখার পাশাপাশি রনজিতের ঘেরের মধ্যে থাকা তৎকালীন সময়ে বিনিময়কৃত জমিটুকুও হাতিয়ে নেয়ার পায়তারা শুরু করে খালেকের পরিবার। শনিবার বিকেলে রনজিতের ছোটভাই বৃদ্ধ শান্তি কুমার ঘোষ তাদের মৎস্য ঘেরে গেলে কথা কাটাকাটির একর্যায়ে প্রতিপক্ষ খালেক তাকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত এবং জাত-পাত তুলে গালিগালাজের পাশাপাশি দেশছাড়া করার হুমকি দেয়। রনজিত তার অভিযোগে আরও জানিয়েছেন, প্রতিপক্ষ আব্দুল খালেকের এক ভাই বর্তমানে সহকারি কমিশনার (ভূমি) পদে মোড়েলগঞ্জে কর্মরত রয়েছে। তার ক্ষমতা ও প্রভাবের অপব্যবহার হিসেবে খালেক তাদেরকে হয়রানি ও লাঞ্চিত করছেন বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
এদিকে লাঞ্চিতের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত আব্দুল খালেক। তিনি বলেন, বিনিময়ের পর থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ঘের করা অবস্থায় সম্প্রতি রনজিতের জমি সরকার খাস খতিয়ানভুক্ত করলেও আমাদের কোন আপত্তি ছিলনা। আমরা যে যার অবস্থানে থেকে ঘের করছিলাম। উল্টো রনজিত ঘোষ ও তার পরিবার তাকে হেনস্তা করে বিভিন্ন দপ্তরে মনগড়া অভিযোগ দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, এনিয়ে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভাতেও আলোচনা হয়েছে। সরকারি সম্পত্তি টুকু আগে সরকারের দখলে নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।