অবৈধ ইটভাটার কালো ধোয়ায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে মানুষ: জনউদ্যোগ

প্রকাশঃ ২০২৩-০২-২৩ - ১২:৪৯

বিজ্ঞপ্তি : অবৈধভাবে গড়ে ওাঠা ইটভাটায় বিনষ্ট হচ্ছে চির চেনা প্রকৃতি ও পরিবেশ, হারিয়ে যেতে বসেছে জীব বৈচিত্র। এছাড়া কালো ধোয়া, গ্যাস ও ধুলায় মারাত্নক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে এলাকার মানুষ। তাছাড়া সংকুচিত হচ্ছে নদী; পাল্টে যাচ্ছে এর গতিপথ। চোখের সামনে এসব ইটভাটা চালু থাকলেও অজানা কারণে নিরব রয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। তবে মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করতে দেখা গেলেও বন্ধ হয়নি এসব অবৈধ ভাটা। ক্ষমতা, অর্থ ও আধিপত্যের মাধ্যমে প্রভাবশালীরা নদীর তীর ও খাসজমি দখলসহ ঘনবসতি এলাকা এমনকি হাসপাতাল- স্কুলের পাশবর্তী স্থানে গড়ে তুলেছে অর্ধশতাধিক অবৈধ ইটভাটা। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত একশ’ বৈধ ইটভাটা থাকলেও অধিকাংশতে মানা হচ্ছে না যথাযথ নীতিমালা। জনউদ্যোগ, খুলনা কর্তৃক জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালকের নিকট স্মারকলিপি পেশকালে নেতৃবৃন্দ একথা বলেন। গতকাল বুধবার সকালে জনউদ্যোগ,খুলনার উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের তালিকা বহির্ভূত অর্ধশতাধিক ইটভাটাকে নীতিমালার আওতায় আনা ও শব্দদূষণ বন্ধের দাবিতে পৃথক দুটি স্মারকলিপি পেশ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জনউদ্যোগ, খুলনার নারী সেলের আহবায়ক এ্যাডঃ শামীমা সুলতানা শীলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডঃ আফম মহসিন, ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগর সভাপতি মফিদুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক দেলোয়ার উদ্দিন দিলু, পোল্ট্রি ফিস ফিড শিল্প দোকান মালিক সমিতির মহাসচিব এস এম সোহরাব হোসেন, গ্লোবাল খুলনার আহবায়ক শাহ মামুনর রহমান তুহিন, খুলনা উন্নয়ন ফোরামের কো-চেয়ারপারর্সন ডাঃ সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, ছায়াবৃক্ষের প্রধান নির্বাহী মাহাবুব আলম বাদশা, নাদিম হোসেন, জনউদ্যোগ,খুলনার সদস্য সচিব সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন, ছাত্র ইউনিয়নের মহানগর কমিটির সাধারন সম্পাদক জয় বৈদ্য, লতা মন্ডল, আব্দুল্লাহ হোসেন প্রমুখ। স্মারকলিপি পেশকালে বক্তারা বলেন, খুলনা জেলার নয় উপজেলার মধ্যে বৈধ ইটভাটা রয়েছে রূপসায় ৬৩টি, ডুমুরিয়ায় ২০টি, বটিয়াঘাটায় ৫টি, তেরখাদায় ৯টি ও দিঘলিয়ায় ৩টি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দুইশ’ মিটারের মধ্যে ঘনবসতি এলাকায় গড়ে তোলার পরেও পরিবেশ অধিদপ্তরের বৈধ তালিকায় থাকার অভিযোগ রয়েছে ইটভাটা। তাছাড়া খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই ৫টি উপজেলাসহ পাইকগাছা, ফুলতলা ও কয়রায় অবৈধভাবে অর্ধশতাধিক ইটভাটা গড়ে উঠেছে। যা পরিবেশ অধিদপ্তরের তালিকা বহির্ভূত হওয়ার পরেও স্থানীয় প্রশাসন সেগুলো বন্ধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিচ্ছে না। জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসিন আরেফীন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ ইকবাল হোসেন নাগরিক নেতাদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ^াস দেন।