খুলনা : খুলনার সরকারি হাসপাতালগুলোতে দক্ষ জনবলের অভাবে বিকল ও মূল্যবান সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতির সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না। এতে দক্ষিণ জনপদের কয়েক লাখ মানুষ কাঙ্খিত চিকিৎসা সেবা পেতে বঞ্চিত হচ্ছেন। মন্ত্রণালয়ের চিঠি চালাচালির মধ্যেই আটকে রয়েছে এ সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষন, সচল ও জনবল পদায়ন। এমনটি বলছেন, হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসার জায়গাটি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। সেখানকার সংশ্লিষ্টরা জানান, ১২ জেলার ১২ টি জেনারেল হাসপাতাল ও ৭৬টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সেখানে রোগী রেফার করা হয়। প্রতিদিনই এ হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে ভর্তি থাকে ১৪০০ থেকে ১৫০০ রোগী। এর বাইরে বর্হিবিভাগ থেকে এক হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালের প্যাথলজিষ্ট ডা. মোঃ নিয়াজ নওশেদ জানান, অপ্রতুল যন্ত্রপাতি, কিছু নষ্ট, পরীক্ষার কিট,জনবল ও চিকিৎসক সংকটের কারনে সব পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। হাসপাতালের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের দুটি সিটিস্ক্যান মেশিনের মধ্যে একমাত্র ৩০০ এমএ এক্সেরে মেশিন, ছয়টি আলটাসোনোগ্রাফি মেশিনের মধ্যে দুইটি বিকল রয়েছে। প্রায় আট কোটি টাকা দামের রেডিওথেরাপি বিভাগের লিনিয়ার এক্সিলেটর মেশিনটি দীর্ঘ এক যুগ ধরে বাক্সবন্দি রয়েছে। অপারেশন থিয়েটার সংকটের অভাবে প্রায় অপেক্ষার প্রহর গোনে ৫০০ রোগী। হাসপাতালের রেডিওথেরাপি ও অনকোলজি বিভাগের প্রধান ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মুকিতুল হুদা বলেন, প্রায় এক যুগ বাক্সবন্দি থাকায় লিনিয়র এক্সিলেটর মেশিনটি অকেজো হয়ে গেছে। যেসব ক্যানসার রোগীর কোমো বা সার্জারির পর টিউমার ধ্বংস করতে রেডিওথেরাপির দরকার পড়ে তাদের আমরা ঢাকায় রেফার করি। হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল ইসলাম জানান, হাসপাতালে ভর্তি থাকা প্রায় ১ হাজার ৫০০ রোগীর পাশাপাশি বর্হিবিভাগে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০০০ রোগীর চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। হাসপাতালে রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের জন্য নতুন একটি ছয়তলা ভবন তৈরি করা হচ্ছে। ভবনটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে পর্যাপ্ত জনবল ও যন্ত্রপাতি মন্ত্রলায় থেকে দেওয়া হবে। তখন হাসপাতালের রোগীদের বাইরে থেকে আর চিকিৎসা সেবা নিতে হবে না। খুলনার সিভিল সার্জন সুজাত আহমেদ বলেন, সরকার উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোয় পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি দিয়েছে। তবে এখনো জনবল পাওয়া যায়নি। তাই মেশিনগুলোর ব্যবহার করা যাচ্ছে না।