ইউনিক ডেস্ক : বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে উন্নয়ন কাজ করছিলেন ঠিকাদারের শ্রমিকরা। দুপুর ২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকার কথা ছিল। কিন্তু বিদ্যুৎ অফিস থেকে দেড়টার দিকে লাইন চালু করে দেয়। এতে বিদ্যুতায়িত হয়ে এক শ্রমিক নিহত হন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হেডমিস্ত্রি। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার খোকন মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত লাইনম্যান মো. মানিক হোসেন (৪০) উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের জয়নাবাদ গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে। আহত হেডমিস্ত্রি একই এলাকার মৃত তছলেম হোসেনের ছেলে রাজু হোসেন (৪৫)।
জানা যায়, কুমারখালীর ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো লি.) পৌরসভার খোকন মোড় এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ করছিলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা। উন্নয়নকাজের জন্য দুপুর ২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখার কথা বলেছিলেন সহকারী প্রকৌশলী মো. রাজু হোসেন। কাজ চলাকালীন শ্রমিকদের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে রাজুর কথাও হয়েছিল। কিন্তু দুপুর দেড়টার দিকে লাইন চালু হলে বিদ্যুতায়িত হয়ে লাইনম্যান মানিক ও হেডমিস্ত্রি রাজু গুরুতর আহত হন।
পরে অন্য শ্রমিকরা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মানিককে মৃত ঘোষণা করেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজুকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠান।
এ বিষয়ে শ্রমিক রফিকুল ইসলাম বলেন, তারা খোকন মোড়ে কাজ করছিলেন। রাজু স্যারের সঙ্গে তাদের বারবার কথা হচ্ছিল। ২টা পর্যন্ত লাইন বন্ধ থাকার কথা ছিল। কিন্তু আগেই লাইন চালু হলে দুর্ঘটনায় মানিক মারা যান এবং হেডমিস্ত্রি আহত হন।
জানতে চাইলে মুঠোফোনে কাজের ঠিকাদার ময়েজ উদ্দিন বলেন, তিনি অন্য সাইডের কাজে ছিলেন। লাইন বন্ধ রাখার কথা ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের আগেই লাইন চালু হওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
তবে শ্রমিকদের অভিযোগ অস্বীকার করে কুমারখালী ওজোপাডিকো লিমিটেডের প্রকৌশলী মো. মখলেছুর রহমান ও সহকারী প্রকৌশলী রাজু হোসেন বলেন, এক অঞ্চলের লাইন বন্ধ করে শ্রমিকরা অন্য অঞ্চলে কাজ করছিলেন। ঠিকাদারের ভুলেই এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোহসীন হোসাইন বলেন, বিদ্যুৎ অফিস ২টার পরিবর্তে দেড়টার দিকে লাইন চালু করায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। অভিযোগ পেলে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।