বিজ্ঞপ্তি : দেশে নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে ভোট হলে আওয়ামী লীগ ১০শতাংশ ভোট পাবে না উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন সরকার সারাক্ষণ উন্নয়নের কথা বলে অথচ জনগণের ভোটকে ভয় পায়। জনগণকে ভয় পায় বলেই দিনের ভোট রাতে করেছে। ৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে লক্ষ-লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছিলো গণতন্ত্রের জন্য, কিন্তু স্বাধীনতার ৫২ বছরে এসে দেশের মানুষ আবারো গণতন্ত্রের জন্য রাজপথে নেমেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ফেরিওয়ালা দাবিদার সরকার দেশের গণতন্ত্র হত্যা করেছে। দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পকেট থেকে শত-শত কোটি টাকা লুট করে নিজেদের পকেট ভারী করেছে। মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে মেগা দুর্নীতি করছে। দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে দেশের মানুষ আজ রক্তাক্ত। বিদ্যুৎ, গ্যাস, তেলসহ সবকিছুর মুল্য বাড়লেও সাধারণ মানুষের জীবনের মুল্য কমেছে। গত ৪ মাসে ১৭জন বিএনপির নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে সরকার।
শনিবার বিকাল ৩টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে ‘সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদ ও ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে মহানগরে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষ কথা বলার অধিকার চায়, ভোটের অধিকার চায়। রাষ্ট্র তিনটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত। এক স্তম্ভের ওপর অন্য স্তম্ভ হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। কিন্তু বর্তমান বিনাভোটের সরকার সকল বিভাগকে কুক্ষিগত করে রেখেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসলে নাকি সংবিধান লঙ্ঘন করা হবে। ভোটের অধিকার কেড়ে নিলে, সুপ্রীম কোর্ট দখলে নিলে কি সংবিধান লঙ্ঘন হয় না? ৯৬ সালে কেন তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন। মানুষের ভোটের জন্য, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা আন্দোলন করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
মহানগর আহবায়ক শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, কেন্দ্রীয় সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাশ অপু, শেখ মুজিবুর রহমান, জেলা আহবায়ক আমীর এজাজ খান, তরিকুল ইসলাম বনি, জিয়াউর রহমান।
মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পি, আবু হোসেন বাবু, খান জলফিকার আলী জুলু, স. ম. আব্দুর রহমান, সৈয়দা রেহানা ইসা, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম সান্টু, মোস্তফা উল বারী লাভলু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, শেখ তৈয়েবুর রহমান, চৌধুরি শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, আশরাফুল আলম খান নান্নু, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, হাসানুর রশীদ মিরাজ, এনামুল হক সজল, ডা. গাজী আব্দুল হক প্রমুখ।