সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার বিচারাধীন একটি জমিতে মন্দিরের নামে জবর দখল ব্যর্থ করে দিয়েছে পুলিশ। গত শুক্রবার দুপুরের পর কুমিরা বাজার মোড়ের কাছে একিট জমিতে কুমিরা গ্রামের গৌতম দে,কার্তিক কুমার দে বাবলু দে প্রতিপক্ষ হাফিজুল ইসলামের দখলে থাকা জমিতে জোরপূর্বক মন্দির স্থাপনের জন্য বাশ, খুটি, টিন দিয়ে কার্যক্রম করতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থালে গেলে দখলকারীরা পালিয়ে যায়। বিয়ষ নিয়ে জমি দখলের নামে এমন ঘটনা না ঘটনার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সর্তক করা হয়।
অভিযোগ উঠেছে কুমরা মৌজার ৪১১৭, ৪১১৯, ৪১২১, ও ৪১৩৭ দাগের ৬ একর ৭০ শতাংশ জমি নিয়ে কুমিরা গ্রামের মৃত জামালউদ্দিনের সাথে সরকার পক্ষের একটি মামলা চলছে। দীর্ঘদিন ধরে সাতক্ষীরা সহকারী জজ (কালিগঞ্জ) আদালতে চলা মামলাটি রায় প্রদান করেন। রায়ে অর্পিত সম্পত্তির তালিকা হতে অবমুক্তির জন্য ডেপুটি কমিশনার সাতক্ষীরাকে ডিক্রি প্রদান করেন। এই আদেশের পর সাতক্ষীরা জজ আদালতে সরকারের পক্ষে আপিল করা হলে আদালত নিম্ন আদালতের আদেশ স্থগীত করেন। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। এদিকে আদালতে বিচারাধিন ওই জমিতে কুমিরা গ্রামের গৌতম দে, গৌতম দে, কার্তিক কুমার দে বাবলু দে ও স্বপন দে গত শুক্ররার জমিটি দখলের জন্য সেখানে বাশ খুটি, টিন দিয়ে মন্দির স্থাপনের চেষ্টা করে। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থানে গিয়ে দখল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায় পুলিশ চলে আসলে আবার অবৈধ দখল কার্যক্রম করা চেষ্টা করলে পুলিশের সাতক্ষীরার তালা-পাটকেলঘাটা সার্কেলর সহকারী পুলিশ সুপার ঘটনা গেলে দখলকারীরা পালিয়ে যায়।
সহকারী পুলিশ সুপার মো: সাজ্জাদ হোসেন ঘটনাটি স্বিকার করে জানান, জমিটি নিয়ে যেহেতু আদালতে বিচারাধীন মামলা চলছে সেকারনে কোন ভাবে কোন পক্ষই নতুন করে কোন স্থাপনা সেখানে করতে পারবে না। ওই জমিতে আগেও একবার দখলের চেষ্টা করলে থানা পুলিশ তা বন্ধ করে দেয়। জমিটি নিয়ে নতুন করে যাতে দখল পাল্টা দখল না হয় সে জন্য উভয় পক্ষ কে সর্তক করা হয়েছে।
কুমিরা গ্রামের মৃত জামলা উদ্দিনের ছেলে হাফিজুর রহমান জানান, জমিটি তারা সিএস প্রজা পূর্ণচন্দ্র মিত্রের পুত্র যতীন্দ্রনাথ মিত্রের কাছ থেকে ক্রয় করে দীর্ঘ ৫০ বছরের অধিক সময় ধরে দখল করে চাষাবাদ করছেন। পরবর্তীতে সরকার ওই জমির মধ্যে ৬ একর ৭০ শতক জমি ভুমি অর্পিত সম্পত্তির‘‘ক” তপশীল তালিকা ভুক্ক করেন। ফলে জামালউদ্দন গং বাংলাদেশ সরকারকে বিবাদী করে সহতকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। আদালত দীর্ঘদিন পরে অর্পিত সম্পত্তি শ্রেনি থেকে ৯০ দিনের মধ্যে অর্পিত তালিকা হতে অবমুক্তির জন্য সাতক্ষীরা ডেপুটি কমিশনারকে আদেশ দেন।