বিজ্ঞপ্তি : সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য পরিশ্রমের বিকল্প নেই। দুঃসময়ে সহায়তা পেয়ে তা’ অবস্থার উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে। সমাজের বেশীরভাগ ধনী মানুষ সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মাননি। শুধুমাত্র মেধা এবং পরিশ্রম দিয়ে তারা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি সোমবার সকালে নগরীর জাতিসংঘ শিশু পার্কে রূপান্তর আয়োজিত উদ্যোক্তা সমাবেশ ও পণ্য প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন। রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খান মোতাহার হোসেন, বিসিক খুলনা ও বরিশাল বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক তাহেরা নাসরিন, বাংলাদেশ বেতারের উপ-আঞ্চলিক পরিচালক মোঃ মমিনুর রহমান, উইমেন চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির বিভাগীয় প্রধান এ্যাডভোকেট শামীমা সুলতানা শিলু, জাতিসংঘ শিশু পার্ক উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ মোল্লা, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মল্লিক সুধাংশু। রূপান্তরের কর্মসূচী সমন্বয়কারী অসীম আনন্দ দাসের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন রূপান্তরের কর্মসূচী পরিচালক ফারুক আহমেদ। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা। অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তাদের মধ্যে বক্তৃতা করেন গল্লামারীর চা বিক্রেতা বুলু রাণী দাস, বেদে সম্প্রদায়ের নাজমা বেগম এবং ২৬নং ওয়ার্ডের শিউলি।
সিটি মেয়র তার বক্তৃতায় নগরীতে অতিমারী করোনার প্রভাবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৭৪৩টি পরিবারকে প্রশিক্ষণ এবং অর্থ সহায়তা দিয়ে উদ্যোক্তা তৈরি করার জন্য রূপান্তর এবং উন্নয়ন সহযোগী সুইজারল্যান্ড সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, সুইজারল্যান্ড সরকারের সহযোগিতায় রূপান্তর পরিচালিত ‘করোনা অতিমারীতে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য জরুরি পুনর্বাসন উদ্যোগ’ (ঝঈজঊঅগ) প্রকল্পের পক্ষ থেকে খুলনা ও বাগেরহাট জেলার ৫টি উপজেলা এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশনে দক্ষ উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ এবং স্থিতিশীল জীবিকা নির্বাহের জন্য ২৭০০ হতদরিদ্র পরিবারকে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। খুলনা মহানগরের সাতশ’ ৪৩জন উদ্যোক্তাকে এই প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ প্রদান ও ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। উদ্যোক্তাদের মধ্যে ছয়শ’ ১৬জনই নারী।