পাইকগাছা (খুলনা) : পাইকগাছায় সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে জনবসতি এলাকায় এসএকে ইট ভাটা একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নাম পরিবর্তন করে রাজস্ব ফাঁকির কৌশল অবলম্বন করে ইট পোড়ানোর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই। জনবসতি এলাকায় এ ইট ভাটা হওয়ায় পরিবেশ দূষণ সহ সাধারণ মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের হাচিমপুর গ্রামে জনবসতি মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এলাকায় উক্ত গ্রামে একই গ্রামের মৃত আব্দুর রউফ খানের পুত্র রুহুল আমিন গংরা দীর্ঘদিন এসএকে ইট ভাটা নির্মাণপূর্বক ইট পোড়ানোর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যা ২০১৩ সালের সরকারি গেজেটে ৮(ক), (গ) ধারায় উল্লেখ রয়েছে, জনবসতি এলাকায় মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা সহ কোন প্রতিষ্ঠান থাকলে সে সব এলাকায় কোন ইটভাটা নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু রুহুল আমিন খান গংরা প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে কৌশলে দীর্ঘদিন ধরে ইটভাটা চালিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে অভিযোগ রয়েছে, রুহুল আমিন খান সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার জন্য কৌশলে এসএকেবি-এর স্থলে একেবি নাম দিয়ে ইট পোড়াচ্ছে। যার ফলে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছেন। অপরদিকে ইট পোড়ানোর ফলে পরিবেশ দূষণের কারণে এলাকার কোমলমতি শিশু সহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ শ^াস কষ্টজনিত সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এলাকার জনৈক আব্দুল হামিদ, জয়নাল আবেদীন, লিটু আহমেদ সহ অনেকে জানিয়েছেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই এ ইট ভাটার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে ইট ভাটার জন্য যে কাগজপত্র থাকা দরকার তা রয়েছে বলে রুহুল আমিন খান জানিয়েছেন। পরিবেশ অধিদপ্তর, খুলনার পরিচালক জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এলাকাবাসী এ সব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।