ইউনিক ডেস্ক : মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ২৫ মার্চের রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর হামলা চালায়। এরপর টানা নয় মাস ধরে ওই হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যায় পাকিস্তানি বাহিনী। সে সময় ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা এবং ঘরবাড়ি পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়ায় আরও ৩ কোটি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। আর ১ কোটি মানুষ শরণার্থী হিসেবে ভারতে আশ্রয় নেয়। বাঙালি জাতিকে চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার উদ্দেশে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নামে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নির্বিচারে গণহত্যা চালায়। সেইদিন হানাদার বাহিনীর বীভৎস হত্যাকাণ্ড শুধু বাংলাদেশের নয় বিশ্বমানবতার ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় হিসেবে রচিত হয়। ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ এর নামে নারকীয় গণহত্যা ছিল বাঙালির একটি প্রজন্মকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার এক নারকীয় পরিকল্পনা।
তিনি আরো বলেন, সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের আগে ২৬ মার্চ (২৫ মার্চ মধ্যরাতে) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যে কোন মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালিরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র লড়াই শেষে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।
শনিবার সকালে দলীয় কার্যালয়ে ভয়াল ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। মহানগর সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানার পরিচালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামাল উদ্দিন বাচ্চু, মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, মাহবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, চ. ম. মজিবুর রহমান, শেখ আবিদ উল্লাহ, মো. নুর ইসলাম, শেখ জাহিদুল হক, শেখ জাহিদুল ইসলাম, ফেরদৌস হোসেন লাবু, বাবুল সরদার বাদল, আব্দুল হাই পলাশ, শেখ আব্দুল আজিজ, শেখ হাসান ইফতেখার চালুসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে ২৪ মার্চ দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে (২৫ মার্চ প্রথম প্রহরে) মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে গল্লামারী বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়। এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।