বিজ্ঞপ্তি : খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) নেতৃবৃন্দ এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে প্রথম আলো পত্রিকা নৈতিক দায়িত্ব উপেক্ষা করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। মহান স্বাধীনতা দিবসে তারা এ-দেশের স্বাধীনতাকে বিদ্রুপ করে বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে কেইউজে নেতৃবৃন্দ এই ষড়যন্ত্রমূলক অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা জানায়।
‘সম্প্রতি ওই পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রেক্ষাপটে একটি শিশুর ছবি এবং সেই ছবির নিচে ক্যাপশনের পরিবর্তে একজন দিনমজুরের বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে। ক্যাপশনে উল্লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাকে পরিষ্কারভাবে উপহাস করা হয়েছে। একজনের ছবির ক্যাপশনে অন্য আরেকজনের উদ্ধৃতি প্রকাশ গণমাধ্যমের নৈতিকতা পরিপন্থী।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নামে এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে এ ধরনের বানোয়াট সংবাদ পরিবেশনের ঘটনা আমরা আগেও প্রত্যক্ষ করেছি। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে একটি মহল অনুরূপ ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।
খুলনার সাংবাদিক সমাজ যথাযথ তদন্তসাপেক্ষে এ ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়। তবে এ প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ কোনো আইনের যেন অপপ্রয়োগ না হয় সেটিও নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
বিবৃতিদাতা হলেন, সংগঠনের সভাপতি ফারুক আহম্মদ, মো: জাহিদুল ইসলাম, আলমগীর হান্নান, আসাদুজ্জামান রিয়াজ, দিলীপ বর্মন, নেয়ামুল হোসেন কচি, শেখ আব্দুল হামিদ, এস.এম মনিরুজ্জামান, আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, মিলন হোসেন ও শেখ জাহিদুল ইসলাম।