তালা প্রতিনিধি : গোপনে বিয়ে করে প্রতারণা করে পালিয়ে আসা এক যুবকের বাড়িতে স্ত্রীর অধিকার আদায়ে অনশন বসেছিল এক তরুনী। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) বিকালে বাগেরহাট থেকে এসে রবিবার পর্যন্ত সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কুমিরা গ্রামে শিক্ষক সমরেশ দে’র বাড়িতে অনশন চালাতে থাকে ওই তরুনী। এদিকে স্ত্রী আসার পর থেকে বাড়ি ছেড়ে লাপাত্তা হয়েছে প্রেমিক সুব্রত দে। রবিবার (২৩ এপ্রিল) স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতাদের হস্তক্ষেপে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে সামাজিক স্বীকৃতি পায় ওই তরুনী। ভুক্তভোগী তরুনী বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানার প্রষিত মালাকারের মেয়ে ঐশী মালাকার (২৩)। সে ঢাকা ইডেন কলেজে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী । অভিযুক্ত যুবক তালা উপজেলার কুমিরা এলাকার শিক্ষক সমরেশ দে’র ছেলে সুব্রত দে (২৪)। সে ঢাকা বুয়েটের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী ওই তরুনীর দাবী, পড়াশুনার সুবাদে বাইরে থাকার কারণে পরিচয় হয় তাদের। এই পরিচয় থেকে তাদের তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে গভীর প্রেমের সম্পর্ক। মাস ছয়েক আগে প্রথমে তাদের নোটারী পাবলিক পরে হিন্দু ধর্মমতে স্থানীয় মন্দিরে গিয়ে বিয়ে হয় তাদের। এক পর্যায়ে তাকে সংসার করার জন্য চাপ দিতে থাকলে নানা রকম তালবাহানা করতে থাকে প্রেমিক সুব্রত।
ভুক্তভোগী আরো জানায়, সম্পর্ক চলাকালীন ইডেন কলেজের সামনে একটি বাসায় রাত যাপনের সময় তাকে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা চালায় সুব্রত। ওই সময় তিনি গুরুতর আহত হয়ে পরিবারের তত্ত্বাবধানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কয়েক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকেন। এরপর তার স্বামী সুব্রত দে পালিয়ে আসলে বাধ্য হয়ে দাবীতে অনশনে বসেন তিনি। পরে রবিবার সকালে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়।
এবিষয়ে অভিযুক্ত সুব্রতের বাবা সমরেশ দে জানান, ওই মেয়ে আমাদের বাড়িতে অনশনে বসেনি। সে ছেলের খোঁজে এসেছিল। বিষয়টি সামাজিকভাবে মিটেও গেছে। খুব শিগ্রিই সামাজিকভাবে বৌমাকে ঘরে আনা হবে।
পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন, তবে এবিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।