মহান মুক্তিযুদ্ধ ও আজকের বাংলাদেশ বাঙালি জাতির অহংকার: হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস

প্রকাশঃ ২০২৩-০৪-২৫ - ১৩:৩৮

বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি: জাতীয় সংসদ’র হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস এমপি বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও আজকের বাংলাদেশ বাঙালি জাতির অহংকার। দেশ যতদিন বেঁচে থাকবে ‘৭১ এ পাকহানাদার বাহিনীর গনহত্যা ও অত্যাচারের কথা জাতি কোনদিন ভুলবেনা। ঠিক তেমনি দেশকে পাক-হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত করতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব এবং তাঁরই নির্দেশে যাঁরা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন তাঁদের কথাও জাতি কোনদিন ভুলবেনা। মনে রাখার বিষয় দুটি এক হলেও তাৎপর্য গত দিক থেকে পার্থক্য রয়েছে। তিনি গতকাল সোমবার বিকাল ৫ টায় বটিয়াঘাটার চক্রাখালি গণহত্যা ‘৭১ স্মরণে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বটিয়াঘাটা উপজেলা শাখার আয়োজনে স্থানীয় সরকারি জলমা চক্রাখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হলরুমে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহবায়ক মোঃ নুরুল আলম শেখ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব ড. প্রশান্ত কুমার রায়, খুবির সহযোগী অধ্যাপক এনামূল হক হীরা, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই গাইন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মনোরঞ্জন মন্ডল, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা বিনয় কৃষ্ণ সরকার, অবঃ প্রধান শিক্ষক নিকুঞ্জ বিহারী গোলদার, ইউপি চেয়ারম্যান বিধান রায় ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তৃপ্তি রানী বিশ্বাস। বীরমুক্তিযোদ্ধা নিরঞ্জন কুমার রায়’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রতাপ ঘোষ, অবঃ ব্যাংক কর্মকর্তা বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রকাশ চন্দ্র রায়, বীরমুক্তিযোদ্ধা মনোরঞ্জন কবিরাজ, বীরমুক্তিযোদ্ধা হরিপদ মল্লিক, বীরমুক্তিযোদ্ধা সুকুমার রায়, বীরমুক্তিযোদ্ধা বিকাশ মন্ডল, বীরমুক্তিযোদ্ধা গৌর চন্দ্র টিকাদার, বীরমুক্তিযোদ্ধা নিরঞ্জন মন্ডল, সন্মিলিত সামাজিক জোট আন্দোলনের সভাপতি এ্যাড. প্রসেনজিৎ দত্ত, এ্যাড. রমেশ চন্দ্র মল্লিক, প্রধান শিক্ষক অন্নদা শংকর রায়, এ্যাড. সন্দীপ রায়, খুবির সহকারী নিয়ন্ত্রক বিধান রায়, আলীগনেতা রাজকুমার রায়, সহকারী শিক্ষক লিটন মন্ডল সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ ও শিক্ষকমন্ডলী। সভায় ‘৭১ সালের ২৪ এপ্রিল পাক হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত ৩ জন বাঙালিকে গুলি করে হত্যা করে। তাঁদের স্মরণে ওই পরিবারের সদস্যদের সংম্বর্ধিত করা হয়।