ডুমুরিয়া (খুলনা) : ডুমুরিয়া উপজেলায় চলতি রোপা আমন আবাদ মৌসুমে লক্ষমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে আমন ধানের সর্বত্র বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বলিষ্ট ভূমিকা পালনের জন্য গত অর্থ বছরের তুলনায় এ বছর অধিক জমিতে রুপা আমন ধানের আবাদ হচ্ছে। এ অবস্থা থাকলে আগামী অর্থ বছরের লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে আমন ধানের আবাদ হবে বলে কৃষিবিদরা মনে করেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে ডুমুরিয়া উপজেলার শরাফপুর, শাহপুর, মাগুরখালী, শোভনা, আঠার মাইল, চুকগনর, বয়ারসিং, বাগআচড়সহ ১৪টি ইউনিয়নে ৪২টি ব্লকে ১৫৯৯৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। গড় হিসাবে গত ২০১৬ অর্থ বছরের তুলনায় চলতি ২০১৭ অর্থ বছরের ৫০০ হেক্টর অধিক জমিতে রুপা আমন ধানের আবাদ হয়েছে। স্থানীয় কৃষক হরিপদ রায়, জহুরুল শেখ, গৌতম পালিত, দিলীপ পলিত, প্রতাপ ঘোষ, জব্বার সরদার বলেন চলতি মৌসুমে ব্রী ধান- ৬২ কাটা শেষ হয়ে গেছে। ব্রী ধান- ৪৯ কাটা প্রায় শেষের দিকে, ব্রী ধান- ৩০, ১৫-২০ দিন পর থেকে কাটা শুরু করব। এছাড়া বিয়ার ১০, ১১, ২৩ ধানের আবাদ উল্øেখযোগ্য। কৃষকরা এই প্রতিনিধিকে আরো বলেন উপজলে কৃষি অফিস সময় মত আমাদের সকল কৃষকদের নানা প্রকার প্রশিক্ষন ও জমিতে যেয়ে তদারকির কারনে এবার আমরা আগের তুলনায় বাম্পার ফলন পেয়েছি। তারপর মাঝেমধ্যে বৈরী- আবহাওয়া না হলে ধান আরো ভাল হতো। ডুমুরিয়া উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম ও ফাতেমা বেগমের সাথে আলাপ করা হলে তারা বলেন, আমাদের এই উপজেলায় কৃষক কৃষানীরা আগের তুলনায় অনেক সচেতন। তারা তাদের জমিতে রোপনকৃত কোন ফসলের কোন একটু সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কাছে ছুঠে আসে। আর আসার পর আমরা তাদেরকে নানা প্রকার পরামর্শ দিয়ে থাকি। এছাড়া কৃষকদের সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করার জন্য জমিতে যেয়ে সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করি। শুধু তাই নয় কৃষকদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে রোগ নিরাময় করা হয়ে থাকে। যে কারনে তারা উৎসাহী হয়ে অনেক পতিত জমিতে রুপা আমন ধানের আবাদ করেছেন। ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার নজরুল ইসলাম বলেন, কৃষকরা আমাদের কথামত রোপা আমন ধান করায় কৃষকরা এবার উল্লেখযোগ্য ফলন পেয়েছে।