যশোর অফিস : যাত্রী সেজে অটো রিকশায় উঠে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে কৌশল নিয়ে চুরি করে পালানোর একপর্যায় জনগণ সোহাগ নামে এক যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে। ধৃত চোর সোহাগ নড়াইল জেলার সদর উপজেলার ভদ্রবিলা গ্রামের মৃত হাফিজুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। যশোরের মনিরামপুর উপজেলার দোনার দাসপাড়া গ্রামের গঙ্গা দাসের ছেলে দুলাল দাস বাদী হয়ে গণধোলাইয়ের শিকার সোহাগের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় উল্লেখ করেন, সোমবার বিকেলে চিত্রা মোড় থেকে সোহাগ যাত্রী সেজে অটো রিকশায় উঠে মণিহার মোড়ে যাবে বলে জানান। মণিহার মোড়ে যাওয়ার পর সোহাগ রিকশা হতে নেমে করিম পাম্পে যাবে বলে ভাড়া পরিশোধ না করে দাঁড়াতে বলে। ফিওে এসে রিকশায় উঠে বকচর করিম তেল পাম্পের দিতে যেতে বলে। সেখানে যাওয়ার পর সোহাগ অটো রিকশা চালককে বাইপাস হয়ে হয়ে জোড়া মন্দিরে যেতে বলে এবং পুনরায় ফিরে আসবে বলে জানায়। সোহাগের কথামতো নিয়ে যাওয়ার পর রাত পৌনে ৮টায় বকচরস্থ জোড়া মন্দিরের পিছনে পৌছালে যাত্রী বেশে চোর সোহাগকে অটো রিকশা থামাতে বলে। রিকশা থামানোর পর সোহাগ একটি পানির বোতল কিনে আনতে বলে। সোহাগের কথামতো রাস্তার বিপরীত পাশে পানির বোতল আনতে যায়। ওই সময় দেখতে পান চোর সোহাগ অটো রিকশা নিয়ে চালিয়ে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে অটো রিকশাসহ সোহাগকে ধরে ফেলে। পরে তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।