সেলিম হায়দার, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ঘোনা গ্রামে শান্তিপূর্ন ভোগদখল কারির সম্পত্তি থেকে ধান কাটার সময় পূর্ব শক্রতার জের ধরে প্রতিপক্ষরা মিথ্যা অভিযোগ এনে হয়রানি করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে । এতে ভুক্তভোগী কৃষক সুষ্ঠ বিচারের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এঘটনায় এলাকার সাধারন মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোপের সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী কৃষক ঘোনা গ্রামের মৃত শামসুদ্দীন গাজীর ছেলে আফাজ উদ্দীন গাজী জানান, তার বাড়ির পাশ্ববর্তী পৈত্রিক সম্পত্তি ঘোনা মৌজার ১৯১ দাগের ১৬ শতক জমি দীর্ঘ দিন ধরে ভোগদখল করে আসছিলেন । গত ২০ নভেম্বর ২জন ক্ষেত মজুরকে নিয়ে ঐ জমিতে পাকা ধান কাটতে ছিলেন। এসময় দেওয়ানী পাড়া গ্রামের মৃত ছমির উদ্দীন বিশ্বাসের ছেলে দুবৃত্ত নিজাম উদ্দীন বিশ্বাস (জনি’র) একটি মিথ্যা অভিযোগে তালা থানা থেকে পুলিশ গিয়ে ধান কাটতে নিষেধ করে। সেই অবস্থায় ঐ জমিতে আর ধান কাটেননি তিনি।
তিনি জানান, সম্পদলোভী জনি এর আগেও নিরীহ মানুষদের বিভিন্ন লোভ লালসা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ও হয়রানি করে অসহায় মানুষের কাছ থেকে জোর পূর্বক সম্পত্তি দখল করে তাকে ভিটামাটি ছাড়া করেছে। তার অত্যাচারের স্বীকার হয়ে ঘোনা গ্রামের সিরাজুল শেখের ভিটামাটি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে লিখে নিয়ে তাকে এলাকা ছাড়া করেছেন । তাছাড়া একই গ্রামের নারায়ন চন্দ্র কে একই কায়দায় এলাকাছাড়া করেছেন শিবিরের ক্যাডার জনি।
ঘোনা গ্রামের অসীম মল্লিক ও তপন মল্লিকসহ একাধিক ব্যাক্তি জানান, দীর্ঘদিন ধরে পৈত্রিক সম্পত্তিতে চাষাবাদ করে আসছেন আফাজ উদ্দীন গাজী । এবারও সে ধানের চাষ করে এবং কিন্তু কি কারণে অভিযোগ এনে ধান কাটা বন্ধ রাখা হয়েছে তা আমাদের জানা নেই । তবে জনি আগেও অন্যর জমি দখল করে নিয়েছে সেটা এলাকার সকলে জানে।
এঘটনায় তালা থানার এসআই মদন কুমার জানান, একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ধান কাটা আপাতত বন্ধ রাখতে বলেছি । উভয় পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছে।