খুচরায় আলুর কেজি ৩০ টাকা

প্রকাশঃ ২০২০-১০-১৪ - ১৩:৫০

ডেস্ক রিপোর্টঃ খুচরা, পাইকারি ও হিমাগার— তিন পর্যায়েই বিক্রির জন্য আলুর দাম বেঁধে দিয়েছে সরকার। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ৩০ টাকার বেশি দরে আলু বিক্রি করা যাবে না গ্রাহকদের কাছে। অন্যদিকে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম সর্বোচ্চ ২৫ টাকা, হিমাগারে সেটি ২৩ টাকা। সরকার নির্ধারিত এই দামে আলু বিক্রি না করলে আইন অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

বুধবার (১৪ অক্টোবর) কৃষি বিপণন অধিদফতর থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, এবার সারাদেশে এক কোটি ৯ লাখ টন আলু উৎপাদন হয়েছে। এতে কেজি প্রতি খরচ হয়েছে ৮ টাকা ৪০ পয়সা। অন্যদিকে, দেশে বছরে আলুর চাহিদা রয়েছে ৭৭ লাখ টনের। সে হিসাবে দেশে প্রচুর পরিমাণ আলু উদ্ধৃত্ত থাকার কথা। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে দেশের বাজারে বাড়তি দামে আলু বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গাতেই প্রতি কেজি আলু ৫০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে না।

এ পরিস্থিতিতে কৃষি বিপণন অধিদফতর থেকে জেলা প্রশাসকদের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, কিছু পরিমাণ আলু রফতানি করা হলেও ঘাটতির সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ। আলুর মৌসুমে যখন হিমাগারে সংরক্ষণ করা হয়েছিল, তখন দাম ছিল প্রতি কেজি ১৪ টাকা। হিমাগার ভাড়া বাবদ ৩ টাকা ৬৬ পয়সা, বাছাই খরচ ৬৪ পয়সা, ওয়েট লস ৮৮ পয়সা এবং মূলধনের সুদ ও অন্যান্য খরচ বাবদ ২ টাকাসহ হিমাগার পর্যায়ে এক কেজি আলুর দাম পড়ে ২১ টাকা। সংরক্ষিত আলুর কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ লাভ, পাইকারি পর্যায়ে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ ও খুচরা পর্যায়ে ১০ দশমিক ১৫ শতাংশ লাভ রেখে ভোক্তার কাছে আলু বিক্রি যুক্তিযুক্ত। এক্ষেত্রে হিমাগার পর্যায়ে ২৩ টাকা, পাইকারি ২৫ টাকা ও খুচরায় কেজি প্রতি আলুর দাম হতে পারে ৩০ টাকা।

বাজারে আলুর দাম মনিটরিং করতে জেলা প্রশাসকদের তাগিদ দিয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, বাজারে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা দরে আলু বিক্রি হচ্ছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করছে কৃষি বিপণন অধিদফতর। এই অবস্থায় খুচরা, পাইকারি ও হিমাগার পর্যায়ে দাম বেশি রাখা হয় কি না, তা জেলা প্রশাসকরা তদারকি করবেন।