ইউনিক ডেস্ক : বাগেরহাটের মোল্লাহাটে আদালতের নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করেই জোরপূর্বক দালান বাড়ী নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ভূক্তোভূগিরা এ অভিযোগ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বি.এম. রহমত ওরফে পিকিং বিশ্বাস জানান, মুনিজিলা মোজার সিএস ৩৯২ খতিয়ান এবং এসএ ৫১৪ খতিয়ান এর ২২৭০ নং দাগের ০.৭০ একর জমি পৈত্রিক। পরবর্তীতে যার বিআরএস খতিয়ান ১০৮২ নং এবং দাগ নং ৩৩২৯। উক্ত বিআরএস (রেকর্ডে) প্রতিপক্ষ মোঃ লিয়াকত হোসেন মুন্সি গঙ অর্ধেকটা জবরদখল রেকর্ড পান। এরপর উক্ত জবরদখলী ভূমিতে জোরপূর্বক বীর নিবাস (দালান বাড়ী) নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করে ঠিকাদার ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম। এঘটনায় জমির বৈধ মালিকের পক্ষে বি,এম, রহমত ওরফে পিকিং বিশ্বাস আদালতের সরণাপন্ন হয়ে দেঃ ১৪৩/২২ ইং মামলা দায়ের ও ১৪৪ ধারায় নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়। আদালত উক্ত জমিতে নিষেধাজ্ঞা/১৪৪ ধারা জারি করে যা বলবৎ আছে। উক্ত নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জবর দখল পক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে জোরপূর্বক কার্যক্রম চালাচ্ছেন চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। পিকিং আরো বলেন, আমাদের জমির পাশের প্লটে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ লিয়াকত হোসেন মুন্সির বাড়ি করার মতো নিজস্ব যথেষ্ট জমি রয়েছে। অথচ আমাদের পৈত্রিক জমি জবরদখল স্থায়ীকরণের হীন উদ্দেশ্যে চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করা হচ্ছে।
চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আপন চাচা ভাতিজার ঘটনা। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা এবং বানোয়াট। আমি ইউএনও এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের অনুমতিতেই মুক্তিযোদ্ধার ঘর নির্মানের কাজ করতে গিয়েছিলাম। সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয় বলে তিনি দাবী করেন।