ইউনিক ডেস্ক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা—১ (দাকোপ—বটিয়াঘাটা) আসনের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ননী গোপাল মন্ডল। স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্রে, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১ লাখ ২০ হাজার ৮০১ ভোট পেয়ে সাবেক সাংসদ ননীগোপাল মণ্ডল জয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বনদ্বী প্রার্থী ছিলেন বিএনপির আমীর এজাজ খান, পেয়েছিলেন ৬৮ হাজার ৪০২ ভোট। তবে ২০১৪ সালের নির্বাচনে ননীগোপালের স্বপ্ন আবারও ভঙ্গ হয়ে যায়। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে সেবার দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করলেও ভোট পেয়েছিলেন ৩৪ হাজার ৫২৭টি। দলীয় প্রার্থী পঞ্চানন বিশ্বাস মোট ৬৬ হাজার ৯০৪ ভোট পেয়ে জিতেছিলেন। তবে বিএনপি জোটের কেউ নির্বাচনে না থাকায় রক্ষা পেয়ে যায় আসনটি। সেবার ননীগোপাল মণ্ডলকে দলীয় পদ হারাতে হয়। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে স্থানীয় রাজনীতির দ্বন্দ্বে দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হন সাবেক এই নেতার। তবে দলের হেভিওয়েট প্রার্থী না থাকায় পঞ্চানন বিশ্বাস আবারও দলীয় মনোনয়ন পেয়ে একাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত হন। এরপর ২০২১ সালে আবার দলে জায়গা করে নেন সাবেক সাংসদ ননী গোপাল। এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বেশ আগেই গণসংযোগ শুরু করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা। ইতিপূর্বে তিনি কৈলাশগঞ্জ ইউনিয়নে ছয়বার ইউপি চেয়ারম্যান, একবার দাকোপ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। একে বারে তৃণমূল থেকে কাজ করা এই সাবেক এমপি অবহেলিত দাকোপ—বটিয়াঘাটায় রাস্তাঘাট, ব্রীজ, কালভার্ট, বিদ্যুৎ, উপকূলের ভেড়িবাঁধ নির্মাণ, সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণসহ বহু উন্নয়নমূলক কাজ করেন। তার নির্বাচনী এলাকাটি হিন্দুসম্প্রদায়—অধ্যুষিত থাকায় বরাবরই আসনটি আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক হিসেবেই পরিচিত। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, খুলনার অন্য পাঁচটি আসন সময়ে সময়ে বিভিন্ন হাতে পড়েছে। কিন্তু ১৯৯১ সাল থেকেই খুলনা—১ নিরাপদ আ’লীগের জন্য। গত ছয়টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর জয় হয়। স্থানীয়রা বলছেন, স্বাধীনতার ৫২ বছরে ওই নির্বাচনী এলাকাটিতে উন্নয়ন হয়েছে সাবেক এমপি ননীগোপাল মণ্ডলের সময়ে। এর আগে এবং পরে দৃশ্যমান আর কেউ এতো উন্নয়ন করতে পারেনি। এমন কি বর্তমান সাংসদ আ’লীগ সরকারের সময়ে যে উন্নয়ন হয়েছে তা তিনি এ এলাকায় করতে পারেনি বলে অভিযোগ রয়েছে। সাবেক সংসদ সদস্য ননীগোপাল মণ্ডল বলেন, জনগণের প্রয়োজন অনুসারে এবং তাদের পাশে থেকে এই অঞ্চলের উন্নয়নের কাজ করে যাবো। এজন্য তিনি জনগণের কাছে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে শেখ হাসিনা সরকারকে পুনরায় বিজয়ী করার আহবান জানান তিনি।