ইউনিক ডেস্কঃ চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য দাফনের ১৫ দিন পর কবর থেকে আজম খান (৪৬) নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তার লাশ তুলেছে পুলিশ। আজম খান মিরসরাই উপজেলার মায়ানী ইউনিয়নের মধ্যম মায়ানী এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। আজ বুধবার দুপুরে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পারিবারিক কবরস্থান থেকে আজম খানের লাশ তোলেন মিরসরাই থানা-পুলিশের নিজামপুর তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তারা।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, আজম খান ফেনী শহরে একটি বেসরকারি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক ছিলেন। ৯ এপ্রিল রাতে বাসায় অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন বলে একটি বেসরকারি হাসপাতালের ছাড়পত্র নিয়ে তড়িঘড়ি করে বাড়িতে এনে লাশ দাফন করে ফেলেন আজম খানের স্ত্রী কামরুন নাহার ও তাঁর পক্ষের আত্মীয়রা। পরে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড অভিযোগ করে ফেনী সদর আদালতে মামলার আবেদন করেন আজম খানের বোন নার্গিস আক্তার। তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ফেনী সদর মডেল থানাকে মামলা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এরপর ১৮ এপ্রিল ব্যাংক কর্মকর্তা আজম খানের বোন নার্গিস আক্তার বাদী হয়ে ফেনী সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় নির্যাতন করে ভাইকে হত্যার অভিযোগে আজম খানের স্ত্রী কামরুন নাহারকে প্রধান আসামি ও তাঁর পক্ষের আরও তিন আত্মীয়কে আসামি করা হয়। মামলার পর ২১ এপ্রিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রধান আসামি কামরুন নাহারকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। মামলাটি তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত করতে আদালতের নির্দেশে আজ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে আজম খানের লাশ উত্তোলন করেন মিরসরাই থানার নিজামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে নিজামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. মাসুদ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ পেয়ে বুধবার দুপুরে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে আমরা ব্যাংক কর্মকর্তা আজম খানের লাশ কবর থেকে তুলে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছি। এরপর লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা মিরসরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী বলেন, ‘আদালতের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে ব্যাংক কর্মকর্তা আজম খানের লাশ কবর থেকে উত্তোলনের বিষয়টি তদারক করেছি।