ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধি// খুলনার ফুলতলায় কতিপয় ভূমিদস্যু জাল-জালিয়াতি মামলার মাধ্যমে নীরিহ ও শান্তিপ্রিয় মানুষের জমি আত্মসাৎ করার চেষ্টারত রয়েছে। একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের হয়রানী করার অভিযোগ রয়েছে। ভূমিদস্যুদের নামে মাদক ও অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে বিভিন্ন থানা ও কোর্টে মামলা রয়েছে। তাদের অত্যাচারের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। এ অভিযোগ ভুক্তভোগীমহলের।
ভ‚মি দস্যুদের জালিয়াতির মাধ্যমে জমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যবৃন্দ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় স্থানীয় বাসষ্টান্ড চত্বর এলাকায় এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য আবুল হোসেন মোড়ল। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোঃ জলিল জমাদ্দার, আব্দুল আলিম শেখ, হুসাইন আহমেদ, মহির বিশ্বাস।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, ফুলতলার আলকা গ্রামে আইডিয়াল স্কুল সংলগ্ন এলাকায় ১৯৬২ সালে রেকর্ডীয় মালিক থেকে ক্রয় করে ভোগ দখলে আছি। দামোদর গ্রামের মহাসিন আলী ভুঁইয়ার পুত্র আসাদ আলী বিশ^াস ও অভয়নগর উপজেলার কাংকুল গ্রামের আব্দুল গফুর সরদার ১৯৫৪ সাল উল্লেখ করে রেনসুট (খাজনার মামলা) জাল ডিগ্রী সম্পাদন করে। পরবর্তীতে আব্দুল গফুর সরদারের পুত্র শরীফুল সরদার, শাহীদুল সরদার ও আফরোজা বেগম গত ০৩/০৬/২০১৯ সালে খুলনাতে একটি দেওয়ানী মামলা করেন। ৮ একর ১০ শতাংশ জমির মধ্য থেকে আসাদ আলী ভুঁইয়ার নামে ৫০ শতক ও আব্দুল গফুর সরদারের নামে ২০০ শতক জাল দলিল ডিগ্রী (খাজনার মামলা) সম্পাদন করে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সাল থেকে ৩০/০৮/২০২২ সালে শরীফ সরদার দিং আসাদ আলী ভুঁইয়া জমি বিক্রি করেছেন বলে জাল দলিল কোর্টে সাবমিট করেন। ফুলতলা সহকারী জজ আদালত খুলনা দেওয়ানি ১৬৪/২১, দলিল নং-৭৭২১ এবং অবসরপ্রাপ্ত আর্মি হারুন এর ৩৬ শতক জমি আত্মসাৎ এর উদ্দেশ্যে আরেকটি দলিল (নং-৭৭২১, তারিখ-০৬/১২/৬৩) সম্পাদক করেন। এই ৭৭২১ নম্বর দলিলটি আজগড়া তেরখাদা। যার নংও -৭৭২১।
এ ছাড়া দেওয়ানি ১২৪/২১ সাল উল্লেখ করে সিএস খতিয়ান ১৬০৩ এ ৮ একর ১০ শতক জমি ১৯৫২ সাল ৩৪৮ ডিগ্রি করে মালিক হয়ে যায় আব্দুল গফুর সরদার। সেই সুবাদে আলকা গ্রামের গফুর সরদারের পুত্র শরীফ সরদার, শহীদুল সরদার, আফরোজা বেগম বিভিন্ন জাল জালিয়াতি করেন এবং এরা সবাই ভূমি দস্যুর সক্রিয় সদস্য। অবিলম্বে ভুক্তভোগী পরিবারর প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।