খুলনা : দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ প্রতিক্ষিত বন্ধন এক্সপ্রেসে প্রতি যাত্রায় কমছে যাত্রীর সংখ্যা। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গেল প্রথম ও দ্বিতীয় যাত্রার থেকে এবার কমেছে যাত্রী।বৃহস্পতিবার বন্ধনের তৃতীয় যাত্রা কলকাতা (চিৎপুর) স্টেশন থেকে ৮১ জন যাত্রী নিয়ে খুলনায় এসেছে। আর খুলনা থেকে ৯৯ জন যাত্রী নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
এদিন ট্রেনের ৪৫৬ আসনের মধ্যে ৩৫৭টি ফাঁকা আসন নিয়েই খুলনা থেকে কলকাতা ফিরেছে বন্ধন এক্সপ্রেস। এর আগে ১৬ নভেম্বর প্রথম যাত্রায় ২৫৩ জন এবং ২৩ নভেম্বর দ্বিতীয় যাত্রায় ১৩৪ জন যাত্রী ছিল। অতিরিক্ত ভাড়ার কারণেই যাত্রী কমছে বলে যাত্রীরা জানিয়েছেন। এছাড়া যাত্রীরা প্রান্তিক স্টেশনে কাস্টমস-ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা চালু করা, খুলনায় মানি চেঞ্জিং বুথ করারও দাবি জানিয়েছেন।
খুলনা মহানগরীর মিয়াপাড়া বাসিন্দা বন্ধনের যাত্রী মামুন বলেন, ভাড়া বেশি হওয়ার ট্রেনে যাত্রী অনেক কম। বগিগুলো প্রায় ফাঁকা ছিল। কলকাতা স্টেশন থেকে ভারতীয় সময় সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ট্রেন ছাড়ে। বেনাপোলে কাস্টমস-ইমিগ্রেশনে একটু সময় বেশি লেগেছে। তিনি বলেন, যাত্রী বাড়াতে হলে ভাড়া কমাতে হবে।
খুলনা রেলস্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, বন্ধন এক্সপ্রেস ১২ টা ৫০ মিনিটে খুলনা এসেছে। তবে নির্ধারিত সময় দুপুর দেড়টায় এখান থেকে ৯৯ জন যাত্রী নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।’ তিনি বলেন, ‘এ ট্রেনটির জন্য এ অঞ্চলের মানুষের উপকার হয়েছে। তবে ভাড়া বেশি হওয়ায় এর যাত্রীসংখ্যা কমছেই।’