নিজস্ব প্রতিবেদক,কুষ্টিয়া: আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হলেও বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা রাতারাতি পরিচয় পাল্টে ধরে রেখেছে নিজেদের অবস্থান। তেমন একজন কুষ্টিয়া পৌর ২০ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ এজাজুল হাকিম এজাজ ওরফে বান্টা মাস্তান। তার পিতার নাম আব্দুল হাকিম প্রামানিক।
অভিযোগ রয়েছে, এজাজ ছাত্র—জনতার আন্দোলনের সময় এলাকায় আন্দোলকারীদের লিস্ট করে বাড়ি বাড়ি যেয়ে হুমকি দেয়। আন্দোলনের সময় তার ক্যাডার বাহিনী কে সাথে নিয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা করে। কিন্তু কুষ্টিয়া বিএনপির একজন নেতার হাত ধরে এখন এজাজ করছেন নানান অপকর্ম। হুমকি, মামলায় ফাঁসানো, চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে।
একটি অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মোঃ এজাজুল হাকিম এজাজ আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে কুষ্টিয়ার ২০ নং ওয়ার্ডে চালিয়েছেন জুলুম—নির্যাতন। কুষ্টিয়া পৌর ২০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ বাগিয়ে করেছেন চাঁদাবাজি। বানিয়েছেন নিজস্ব লাঠিয়াল বাহিনী। তার বাহিনীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি, জমি দখল ও মাদক ব্যবসার অভিযোগও রয়েছে। নিজের অপকর্মের হাতকে আরো শক্তিশালী করতে এজাজ তার ফুফাতো ভাই ইশতিয়াজ হান্নানকে ২০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি পদে বসান। এজাজ দুইবার রাতের আঁধারে ভোট চুরি করে এবং সন্ত্রাসী কায়দায় কেন্দ্র দখল করে ২০ নং পৌর ওয়ার্ড কমিশনার হয়। মাহাবুব আলম হানিফকে নির্বাচনে জিতিয়ে দিতে এজাজ সন্ত্রাসী কায়দায় তিনবার সংসদ নির্বাচনে কুমারগাড়া কেন্দ্র দখল ও অবৈধভাবে ভোট চুরি করে। এছাড়াও দুইবার উপজেলা নির্বাচনে এজাজ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী কুমারগাড়া ভোট কেন্দ্র দখল করে অবৈধভাবে ভোট কেটে আতাউর রহমান আতাকে জিতিয়ে দেয়। একচ্ছত্র আধিপত্যে এজাজ তার ভাই তাইজুল, ভাই মঞ্জিল হোসেন বাবলু, ইশতিয়াজ হান্নানরা সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে কুমারগাড়া ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ব্যাপক চাঁদাবাজি, ভুমি দখল করে। সাধারন নিরীহ মানুষেরা এদের বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পায়।
অন্য একটি অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শেখ হাসিনার সমালোচনা করায় কুষ্টিয়ার কুমারগাড়ায় এক যুবকের নামে এজাজ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে। এজাজ এখন আতাউর রহমান আতার ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো ফ্যাক্টরির ব্যবসা পার্টনার এবং বিএটির খাজানগর ডিপোর সমস্ত কন্টাক্ট পরিচালনা করছে। যে সমস্ত কন্ট্রাক্ট আতা নিজ নামে না করে এজাজের নামে করিয়েছে।
২০ নং ওয়ার্ডের একজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এজাজ অনেক ভয়ানক একজন মানুষ। তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলার সাহস করে না। দখলবাজি, চাঁদাবাজির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন। স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের পতন হলেও এজাজের পতন হয়নি। এখন সে আবার বিএনপির শেল্টার বাগিয়েছে একজন নেতার হাত ধরে। দিচ্ছেন অনেক টাকা টিকে থাকার জন্য। তাকে আইনের আওয়াতায় আনলে অনেক হামলার গোপন তথ্যের ব্যাপারে জানা যাবে।
সচেতন নাগরিকরা মনে করেন, এজাজের মতো মানুষ রাজনীতির নাম ব্যবহার করে নিজের স্বার্থ হাসিল করে। রাজনীতি করা হয় জনগনের কল্যানের জন্য। কিন্তু এজাজ করেছেন নিজের কল্যানের জন্য। আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হলেও এজাজের কোন লাগাম নাই। এজাজের মতো সন্ত্রাসীদের আইনের আওয়াতায় এনে বিচারের দাবী করেন তারা।