ক্রীড়া প্রতিবেদক : কানপুরে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে ৩৫ ওভার খেলা হওয়ার পরই নামে বৃষ্টি। এরপর সেদিন আর খেলা হয়নি। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দিনের খেলা পণ্ড হওয়ার পর আজ চতুর্থ দিনের খেলা গড়ায় মাঠে। দিনের শুরুতেই তিন উইকেট হারালেও একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মমিনুল হক। ভারতীয় বোলারদের দেখশুনে খেলে মধ্যাহ্নবিরতির আগেই ঞ্জিজের শতক তুলে নেন তিনি। মমিনুলের ব্যাটেই দলীয় দুইশ রানের সংগ্রহ পেরিয়ে সামনে এগোচ্ছিল সফরকারীরা। তবে অপরপ্রান্তে সঙ্গী পাননি তিনি, দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই সাজঘরের পথ ধরেন মেহেদী মিরাজ, এরপর দ্রুতই তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ ও খালেদ হোসেন আউট হলে ২৩৩ রানেই থামে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। মমিনুল অপরাজিত ১০৭ রানে।
চতুর্থ দিনে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি একেবারেই। দ্রুতই তিন উইকেট হারায় টাইগাররা। শুরুতেই মুশফিক আউট হওয়ার পর লিটন দাস এবং সাকিব আল হাসানও ব্যাট হাতে ইনিংস বড় করতে পারেননি। এদিকে একপ্রান্তে আসা-যাওয়া চলতে থাকলেও অপরপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মমিনুল। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার দিনের শুরুতেই নিজের অর্ধশতক পূরণ করার পর মধ্যাহ্নবিরতির আগেই তুলে নিয়েছেন শতকও।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিনেই ৩ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ৩৫ ওভার ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ১০৭ রান তুলতেই হারিয়েছিল জাকির হাসান, সাদমান ইসলাম এবং অধিনায়ক নাজমুল শান্তর উইকেট। এরপর ক্রিজে মমিনুল হকের সঙ্গী হয়েছিল মুশফিকুর রহিম। মমিনুল ৪০ এবং মুশফিক ৬ রানে অপরাজিত থাকতেই বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয় খেলা।
আজ চতুর্থ দিনের খেলা শুরুর পর মুশফিক ক্রিজে থাকতে পেরেছেন কেবল ৫ ওভার। ৪১তম ওভারে জশপ্রীত বুমরার বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে। ১১ রান করে মুশফিক ফেরার পর ক্রিজে মমিনুলের সঙ্গী হন লিটন দাস। তবে তিনিও আজ নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি।
দলীয় ১৪৮ রানে মোহাম্মদ সিরাজের বলে রোহিত শর্মার মুঠোবন্দী হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। এরপর ক্রিজে আসেন সাকিব, তিনিও আউট হিয়েছেন দ্রুতই। ১৭ বলে ৯ রান করে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে আউট হন তিনি।
এদিকে একপ্রান্তে দ্রুত তিন উইকেট হারালেও অপরপ্রান্তে দুর্দান্ত খেলছেন মমিনুল হক। ভারতীয় বোলারদের দেখেশুনে খেলে সকালের শুরুতেই তিনি নিজের ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন তিনি, অভিজ্ঞ এই ব্যাটার এরপর মেহেদী মিরাজের সঙ্গে জুটি গড়েন। দেখেশুনে খেলে তিনি তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি, টেস্ট ক্রিকেটে এটি তাঁর ১৩তম শতক। মমিনুলের শতকের সঙ্গে দলীয় দুইশ রানের সংগ্রহ পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৬ উইকেটে ২০৫ রান নিয়ে মধ্যাহবিরতিতে যায় টাইগাররা।
বিরতি থেকে ফেরার পর আর খুব বেশি এগোতে পারেনি বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে আর ২৮ রান যোগ হতেই অল আউট হয় টাইগাররা। জশপ্রীত বুমরার বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে মিরাজ ফিরলে ভাঙে মমিনুলের সঙ্গে তাঁর ৫৪ রানের জুটি। এরপর তাইজুল, হাসান আর খালেদকে নিয়ে খুব বেশি এগোতে পারেননি মমিনুল।