ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও নালা সংস্কারের অভাবে গত দু’দিনের অবিরাম বর্ষনে ফুলতলা উপজেলার আলকা মধ্যপড়া, মল্লিকবাড়ি ও চরপুকুর এলাকার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসী গৃহবন্ধী হয়ে পড়েছে। গবাদিপশু, মুরগি ও কোয়েল খামার, সবজি ক্ষেত, পুকুর, মাছের খামার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে গাজী বাড়ি, সরদার পাড়া, চরপুকুর ও মোল্যা পাড়ার গোরস্থান। দুর্ভোগ কবলিত এলাকাবাসী প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় সাংসদ ও প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ’র নিকট আবেদন জানালে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিষয়টি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউএনওকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় অর্থাৎ পুরাতন কাঁচা নালাগুলো ভরাট হয়ে যাওয়া এবং অধিকাংশ নালাগুলো ব্যক্তি বিশেষ নিজ স্বার্থে ভরাট করে দেয়ায় বৃষ্টি পানি সরতে না পারায় এ পানিবদ্ধতার মুল কারণ। সাধারণত: এ অঞ্চলের বৃষ্টির পানি আলকা আনছারের দোকান এলাকা থেকে এমসিএসকে সড়কের পাশ দিয়ে, মধ্যপাড়া ও মল্লিকপাড়ার পানি উপজেলা সড়কের পাশ দিয়ে মৃতঃ দিনো সরদারের বাড়ির পাশ দিয়ে পাল পাড়া হয়ে কারিকরপাড়ার পাশ দিয়ে বিলডাকাতিয়ায় পড়ে। আবার চরপুকুরের পানি আলকা একতা সংঘের মাঠের পাশ দিয়ে চৌদ্দমাইল এলাকায় গিয়ে পড়ত। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও নালাগুলো মুলত: রাস্তার পাশে সরকারি জায়গা দিয়েই খনন করা হয়েছিল। কিন্তু প্রভাবশালী মহল সরকারি জায়গায় খননকৃত ড্রেনগুলো ভরাট করে নিজেদের সীমানা বাড়িয়ে নিয়েছে। আবার কোন কোন স্থানে কালভার্ট ও পুলের মুখ বন্ধ করে বাড়িঘর তৈরী ও মৎস্য ঘের ভেড়িবাঁধ দিয়েছে। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই এলাকায় পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। তলিয়ে যাচ্ছে গবাদিপশুর ঘর, হাসমুরগী, কোয়েলখামার, সবজি ক্ষেত ও চলাচলের রাস্তা। যাতায়াতে দুর্ভোগ বাড়ছে মানুষ ও স্কুলগামী কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে ড্রেনেজ ও নালাগুলো সংস্কারের মাধ্যমে পানি নিষ্কাষন ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে এলাকার দুই শতাধিক ব্যক্তি স্থানীয় সাংসদ ও প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ’র নিকট আবেদন জানালে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিষয়টি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউএনওকে নির্দেশ দেন। আলকা ৩নং ওয়ার্ডের কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন আলী গাজী স্বাক্ষরিত আবেদনপত্রে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়।