পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি : পাটকেলঘাটা থানাধীন পান চাষ আজও জনপ্রিয়তা ধারণ করে আছে। পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান ও লাভবান হওয়ায় দিনদিন উত্তোরত্তর বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। এই চাষ করে আজকে অনেকেই তাদের ভাগ্যের চাকা পরিবর্তনে সক্ষম হয়েছে। কিশোর হতে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যান্ত ৩০-৬০ টাকা ঘন্টা প্রতি আয়ের উৎস হওয়ায় বেকারত্বের হার একেবারেই নেই বললে ভূল হবে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাটকেলঘাটার প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে বিগত দিনগুলোতে ধান, পাট, গম, আখ ইত্যাদি চাষাবাদ করা হতো বর্তমানে সেখানে অধিকাংশ জমিতে পানের বরজ গড়ে তুলেছে। কারণ জানতে চাইলে কয়েকজন পান চাষী ও ব্যবসায়ী জানান, অন্য ফসলের তুলনায় পান চাষ অধিক লাভবান হওয়ায় তারা এ চাষকে প্রাধান্য দিয়েছেন। পাটকেলঘাটার কুমিরা, রাঢ়ীপাড়া, অভয়তলা, মৃজাপুর, ইসলামকাটি, খলিষখালী, সহ প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে দেখা মেলে পান চাষের অবাদ বিস্তার । যা প্রতি বছর রপ্তানির মাধ্যমে আয় করে আসছে হাজার হাজার টাকা। কুমিরা গ্রামের পানচাষী সাগর হোসেন জানায়, গত কয়েকদিন যাবত যে মোটা পান ৪০/৫০ টাকা বিক্রি করেছে এখন তা দাম বেড়ে দাড়িয়েছে ৭০/৮০ টাকা যে পান ৮০/৯০ টাকা বিক্রি করেছে তা এখন ১৩০/১৫০ টাকা দরে বিক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে। বর্তমানে পান চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে পরিগণিত। যে কারণে চাষের মাধ্যমে আলোর মুখ দেখছেন পাটকেলঘাটার প্রত্যন্ত অঞ্চলের পান চাষীরা
কিন্তু কপোতাক্ষের উপকূলবর্তী হওয়ায় সবাই যে লাভবান হচ্ছেন তা নয়। বন্যা প্লাবিত অঞ্চলের কারণে নিঃস্ব হয়েছেন অনেকে। পাøবিত হওয়ার কারণে পান গাছ পচা ধরায় পানের বরজ বিনষ্ট হয়েছে। সমস্ত অর্থ বিনিয়োগ করায় বর্তমানে অনাহারে, অর্ধাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে।