দেশের কোনো কোচ বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার উপযুক্ত নন : তামিম

প্রকাশঃ ২০২৪-১০-০৯ - ১৬:৩২

ক্রীড়া প্রতিবেদক : বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে রয়েছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিসিবির সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এরপরই নতুন কোচ দেখা যাবে টাইগার শিবিরে। দেশের মধ্যে থেকে জাতীয় দলের প্রধান কোচ নিয়োগ দেওয়ার কথা বলছে কেউ কেউ। যদিও সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল জানালেন ভিন্ন কথা।

ভারতের ‘স্পোর্টস-স্টার’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাতীয় দলের কোচ ইস্যুতে তামিম বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না, প্রধান কোচ হওয়ার মতো যোগ্য কেউ বাংলাদেশে এখন আছে। এখন এমন দু-তিনজন আছেন, যারা সহকারী কোচ হতে পারেন। কিন্তু আমার মনে হয় না, তারা জাতীয় দলের প্রধান কোচ হওয়ার উপযুক্ত।’

তবে দেশি কোচদের প্রাধান্য দেওয়া নিয়ে তামিম বলেন, ‘বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফে ৭০: ৩০ অনুপাত থাকা উচিত। প্রধান কোচ পদে একজন বিদেশি ও তার সঙ্গে বড়জোর আরও দুজন বিদেশি কোচ থাকতে পারেন। সহকারী কোচ পদে বাকি ৭০ শতাংশ বাংলাদেশি নিয়োগ করা উচিত। তাতে স্থানীয় কোচদের গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে এবং একদিন তারা প্রধান কোচ হতে পারবেন।’

সেই সূত্র ধরেই হয়তো তামিমের কাছে চাওয়া হয়েছে, বাংলাদেশ দ্রুতই নতুন কোচ নিয়োগ দিতে পারে—এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। বাংলাদেশ দলের নতুন কোচ কেমন হওয়া উচিত?

তামিম এ ব্যাপারেও সুনির্দিষ্ট উত্তর দিয়েছেন, বাংলাদেশের বড় নামের পেছনে ছোটা বন্ধ করা উচিত। কারণ, বিখ্যাত সবাই দলের জন্য ভালো কোচ হয় না। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য কারা মানানসই, সেটা তাদের (বিসিবি) খুঁজে বের করতে হবে। সেই ব্যক্তিকে কঠোর পরিশ্রমী হওয়ার পাশাপাশি দলে কিছু যোগ করার সামর্থ্য থাকতে হবে।

তামিম এরপর উদাহরণ দিয়েই তা বুঝিয়েছেন, রায়ান টেন ডেসকাট কি ক্রিকেটে খুব বড় নাম? তবু সে কিন্তু ভারতের কোচিং স্টাফের অংশ। আমাদের তার মতো মানুষ প্রয়োজন, যে পর্দার আড়ালে কাজ করবে। অভিষেক নায়ার কি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের একজন? বিসিসিআই কেন তাহলে তাকে সহকারী কোচ হিসেবে পেতে চেয়েছে? কারণ, দলে ভালো কিছু যোগ করার মতো সামর্থ্য তার আছে। আমি যেটা শুনেছি, সে বেশ কয়েকটি দলে অবিশ্বাস্য কাজ করেছে এবং ভারতের কিছু ক্রিকেটারের সঙ্গেও নিবিড়ভাবে কাজ করছে। আমাদের বড় নামের পিছু না ছুটে এমন সব ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে হবে।