স্টাফ রিপোর্টার : খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাবেক ভূমি মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এবং ডুমুরিয়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদের সাথে স্থানীয় বিএনপি নেতা মোল্লা মাহবুবুর রহমানের বেশ সৌহার্দ্যপূর্ণ একটি ছবি এখন আলোচনায়। ঘুরছে বিভিন্ন মাধ্যমে। আওয়ামীলীগ-বিএনপি’র অনেকের মোবাইলেও ঘুরছে ছবিটি। আলোচিত ছবিটি এ প্রতিবেদকের হাতেও এসেছে।
আলোচিত ছবিতে অবৈধভাবে ভারত সীমান্ত পার হয়োর চেষ্টা এবং ধর্ষণে সহায়তার মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে অবস্থানরত ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাবেক ভূমি মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এবং একই ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি ডুমুরিয়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদকে দেখা যাচ্ছে। তার পাশেই ডুমুরিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাহস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোল্লা মাহবুবুর রহমান এবং সাহস ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি ও ইউপি সদস্য শফিকও রয়েছেন। ছবির পিছনে স্থান হিসেবে খুলনা ক্লাব লিমিটেড’র নাম লেখা রয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা গ্রহণ এবং নিজেকে নিরাপদ রাখার কৌশল হিসেবেই মূলত ডুমুরিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাহস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোল্লা মাহবুবুর রহমান তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের নিয়ে সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ও গাজী এজাজ আহমেদের সাথে খুলনা ক্লাবে গোপন রুদ্বদার বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠক শেষে গোপনে তারা বেরিয়ে যাওয়ার মুহুর্তে ছবিটি তোলা হয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে গোপন আঁতাত করেই মোল্লা মাহবুব তার চেয়ারম্যানশীপ নিরাপদ রাখতে সক্ষম হন। একই সঙ্গে জিরোপয়েন্টে জমির ব্যবসার নিয়ন্ত্রণসহ অঢেল অর্থ-সম্পদ গড়ে তোলেন। তৎকালীন সময় স্থানীয় অন্যান্য বিএনপি নেতারা হামলা-মামলার শিকার হয়ে কারাবন্দী বা পলাতক জীবন-যাপন করলেও মোল্লা মাহবুব আওয়ামীলীগের সঙ্গে নিয়াজো করে বহাল তবিয়তে থেকে নিজের আখের গুছিয়েছেন। আর সঙ্গে তার ভূমির ব্যবসা নিয়ন্ত্রকারী অপর বিএনপি নেতা শফি মেম্বরকে সঙ্গে নেন তিনি। যে কারণে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলেও তিনি বিনা বাঁধায় একাধারে ২০১১ ও ২০২১ সালে দু’ বার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। একইভাবে ২০১৮ সালে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।
এদিকে, ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাবেক ভূমি মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদের সঙ্গে খুলনা ক্লাবে একই ছবিতে থাকার কথা স্বীকার করেছেন ডুমুরিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাহস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোল্লা মাহবুবুর রহমান। তবে, সেখানে একটি সরকারি প্রোগ্রামে গিয়েছিলেন বলে দাবি করলেও দিন-তারিখ বা কি প্রোগ্রাম সেটি বলতে পারেননি তিনি। এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক, লিয়াজো বা সুবিধা গ্রহণ এমনকি ভূমিদস্যুতার অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি।