খুলনা : খুলনার খালিশপুরে পাচার হওয়া দু’ মহিলার মধ্যে একজন পাচারকারী চক্রের কবল থেকে পালিয়ে এসেছে। এ ঘটনায় দু’পাচারকারীর নাম উল্লেখপূর্বক পাঁচজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ৪ ডিসেম্বর ভিকটিমের পিতা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। যার নং-১০, ধারা-মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০০২ এর ৬/৭/৮ ধারা। তবে পুলিশ গতকাল পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবুল হাসান জানান। আসামীরা হলো ভারতের বাসিন্দা প্রেম কুমার (৩২) ও দিঘলিয়া উপজেলার উত্তর চন্দনীমহল এলাকার বাসিন্দা হবির মেয়ে সাথী (২৫)। এছাড়া অজ্ঞাত নামা ৩/৪ জন রয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বাদীর নিকটজন মোসাম্মদ সাথীর পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেম কুমার তার বাড়ীতে যাতায়াত করতো। সে সুবাধে তার সাথে মেয়েসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে পরিচয় হয়। এ সুযোগে প্রেম ও সাথী যোগসাজসে বাদীর মেয়ে ও গৃহ পরিচারিকাকে ভারতে ভাল কাজ দেয়ার কথা বলে গত ২ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে ফুসলিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। খবর পেয়ে বাদী ও তার পরিবারের সদস্যরা সাতক্ষীরা জেলার বাশদাহ সীমান্তে ছুটে গিয়ে গৃহপরিচারিকা আমেনাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তবে এর কিছু আগেই তারা বাদীর মেয়েকে ভারতে পাচার করেছে। পরে বাদী গৃহপরিচারিকা আমেনাকে নিয়ে খুলনায় ফেরত আসেন। ফিরে এসে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন। এ চক্রটি দীর্ঘ দিন এলাকায় মানব পাচারের সাথে জড়িত। তারা ভাল চাকুরি দেয়ার কথা বলে ভারতে পাচার করে থাকে। বাদী শহিদুল খালিশপুর বঙ্গবাসী এলাকার বাসিন্দা। তিনি ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সর্দার হিসেবে কর্মরত আছেন।
বাদী শহিদুল ইসলাম জানান, খালিশপুর পৌর সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাফেল ফেরদৌস রানার আপ্রাণ চেষ্টাায় পাচারকৃত একজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবুল হাসান বলেন, পাচারের ঘটনায় একজন ভিকটিম উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে এ জন্য ভিকটিম বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে। পাশাপাশি থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নাসিম খান পিপিএম-এর ব্যাপক তৎপরতায় বাদী ও বাজার কমিটির নেতা রানার সহযোগিতায় ভিকটিম আমেনা বেগমকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অপর ভিকটিমকে পাচারকারীরা ভারতে পাচার করেছে। ওই ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।