সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলার মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির উপদেষ্টা সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, নবাগত জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিশ^াস সুদেব কুমার, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল খালেক, বিজিবি ১৭ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের উপ-পরিচালক নীলডুমুর ক্যাম্পেন মো. রাশেদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল হান্নান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার, জেলার আবু জাহেদ, সড়ক ও জনপদ সাতক্ষীরা নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল করিম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম, জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম ছায়েদুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল বারী, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন সজল, জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ আল আসাদ, শামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান, দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ আল আসাদ, কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন, কালিগজ্ঞ উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈনুদ্দিন, জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক দেবাষিস সরদার, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মারুফ আহম্মদ, বিআরটিএ’ সাতক্ষীরা সার্কেলের সহকারি পরিচালক প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ চৌধুরী, পৌর কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর, পৌর কাউন্সিলর জ্যোৎন্সা আরা, এ.কে.এম আনিছুর রহমান, জেলা বাকসিস এর সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তারাময়ী মুখার্জী প্রমুখ। জেলা মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভায় বাল্য-বিবাহ বন্ধে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহন এবং বাল্য-বিবাহের সাথে তিনজন আইনজীবী সরাসরি জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমান সংগ্রহ করে হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হবে। অতীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক নিরীহ অনেক মানুষ হয়রানীর স্বিকার হয়েছে। নবাগত পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ভবিষ্যৎতে এধরনের হয়রানীর স্বিকার যেন না হয়। বিনেরপোতা মৎস্য আড়তে ডিজিটাল কাটাপাল্লার ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং জেলা সকল বাজারে ডিজিটাল কাটাপাল্লার ব্যবহার বাড়ানো বিষয়ে। যত্রতত্র মাইকিং করে শব্দ দূষণে ব্যবস্থা গ্রহন। সাতক্ষীরা জেলার যে সব রাস্তা ব্যবহারের অনুপযোগি তার তালিকা তৈরী করার জন্য সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেন জেলা আ’লীগের সভাপতি। জেলার রাস্তা-ঘাট খারাপ থাকলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কথা বললেন নবাগত পুলিশ সুপার, ভোমরা স্থল বন্দরের বাংলাদেশ সীমান্তের ব্রিজটির নির্মাণ কাজ অগ্রগতি সম্পর্কে, বিজিবি’র টহল থাকা সত্বেও ভারত থেকে মাদক আসছে অবাধে। বিজিবি বলেন, বিজিবি দায়িত্ব অবহেলা করেনা। জনবল ঘাটতির কারণে অনাকাঙ্খিত কারণে এটা বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলায় খোলা মাঠে শিক্ষার্থীদের কোন ক্লাস হবেনা। জেলার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জেলা প্রশাসনের সাথে তথ্য সমন্বয় রাখতে হবে। তাহলে সকলের জবাবদিহীতা থাকবে। সকলের সমন্বয় থাকলে এ জেলা ভাল থাকবে। থ্রি-হুইলার ও ইজি-বাইক শহরে অতিরিক্তহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। নির্দিষ্ট সংখ্যার মধ্যে রেখে একটি কালার রঙ করে মাত্রারিক্ত বৃদ্ধির হার কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন। গ্রাম আদালত মামলার জট অনেকাংশে কমেছে। ইতিপূর্বে ১/২ বোতল ফেনসিডিল দিয়ে মানুষকে হয়রানী করা হয়েছে। এখন থেকে এটা আর হবেনা এবং জেলার যে কোন থানায় ১০ বোতলের নিচে ফেনসিডিল, ২শ’ গ্রামের নিচে গাজা ও ২০ পিচের নিচে ইয়াবার মাদকের মামলা হবেনা। এগুলো ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে অনুরোধ জানান, জেলা পুলিশ সুপার। এছাড়া খুব শিঘ্রই অবৈধ যানবহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন প্রসঙ্গসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
জেলার থানা ওয়ারী মামলা অনুযায়ী নভেম্বর ২০১৭ মাসে মামলা হয়েছে ২শ’ ১৫টি মামলা হয়েছে। অক্টোবর মাসে মামলা ছিল ২শ’ ৩২টি। তুলনামুলকভাবে মামলার সংখ্যা কমেছে। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে ৭২টি। সাতক্ষীরা জেলার মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির পক্ষ থেকে নবাগত জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমানকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। সাতক্ষীরা জেলার মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভায় কমিটির সদস্য ও প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার আক্তার হোসেন।