পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি : সাপ খেলা দেখিয়ে দু’ টাকা কামাই করা যাদের একমাত্র সম্বল তারা আজ ভালো নেই। যাযাবর জীবন চালিয়ে খুবড়ি ঘর বেধে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে শহর থেকে শহরতলীতে তাদের আনাগোনা। একসময় বেশ কামাই রোজগারও ছিল। বিভিন্ন ঔষধ পত্র বিক্রি করে ও সাপ দেখিয়ে মানুষকে আনন্দ দিয়ে কামাই রোজগার বেশ ভালোই যাচ্ছিল। তাতে সাপুড়েদের যেমন ছিল হাকডাক, তেমনি মানুষজন বেশ খুশি। বীণ বাজিয়ে তারা আনন্দের মাত্রা আরও বৃদ্ধি করে দিত।
গতকাল পাটকেলঘাটার গ্রামে গ্রামে এমনই বীন বাজিয়ে সাপ খেলা দেখানো সময় কথা হয় করিম নামে এক সাপুড়ের সাথে। জানান, আজ আর ভালো নেই আমরা। মানুষ এখন অনেক সচেতন। বোকা বানানো সহজেই তারা বিশ্বাস করে নেই। ঔষধ পাতিও খুব একটা বিক্রি হয় না। যেটুকু হয় তাতে আর সংসার চলে না। সন্তান ও ৫ টি। স্ত্রী ও আমি যা কামাই রোজগার করি কোনো রকমে দুমুঠো ভাত সন্তানদের মুখে তুলে দিতে পারি এখন।
সাপুড়েদের অতীত জৌলূস নেহায়েৎ কম ছিল না। ঝাড় ফুক দিয়ে, বীন বাজিয়ে, ঔষধ পত্র বিক্রি করে তারা স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করত। সাহিত্যের মৃত্যুঞ্জয় নায়কের জীবন অবসান ছিল তারই আস্বাদন। কালের বিবর্তনে তারা সবই হারিয়েছে। স্ত্রী কন্যা সন্তান দিয়ে রাস্তাঘাটে মনোসা দেবীর কসম দিলেও জনগণ এখন কিছুই দেয় না। তাড়িয়ে দেয়। আবার পুরুষ দিয়ে এ ব্যবসা মোটেই জমে না বলে জানান। তবে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে কি করবেন সেটাই ভাবছি বলে জানালেন এই সাপুড়ে।