সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের পরের গ্রেডে সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল নির্ধারণের দাবিতে সাতক্ষীরায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোট সাতক্ষীরা জেলা শাখা।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল হান্নান বাবুল।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা (২য় শ্রেণি) বেতন পান ১১তম গ্রেডে ১২৫০০ টাকা স্কেলে এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা বেতন পান ১৪তম গ্রেডে ১০২০০ টাকা স্কেলে।
শিক্ষকদের বক্তব্য, একই শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেও তারা প্রধান শিক্ষকদের চেয়ে ৩ ধাপ নিচে বেতন পান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে যখন প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করেছিলেন, তখন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতনে কোন ব্যবধান ছিল না। কিন্তু ২০১৪ সালে মূল বেতনে ব্যবধান হয় ১২০০ টাকা ও ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলে ব্যবধান বেড়ে হয় ২৩০০ টাকা।
শিক্ষকরা ক্ষোভের সাথে বলেন, বর্তমানে একজন প্রধান শিক্ষক যে স্কেলে চাকুরী শুরু করেন, একজন সহকারী শিক্ষক সেই স্কেলে চাকুরি থেকে অবসর নেন। যা চরম বৈষম্যমূলক এবং অমর্যাদাকর।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বেতন বৈষম্য দূরীকরণে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণসহ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সাথে বার বার বৈঠক করেও কোন সমাধান পাওয়া যায়নি।
এ সময় আগামী ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়ন না করা হলে ২৩ ডিসেম্বর রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশন কর্মসূচির আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আরিফুজ্জামান কাকন, মোঃসিরাজুল ইসলাম, মোঃ রোকনুজ্জামান,শাহিনা আক্তার,মোস্তাফিজুর রহমান, মোঃ সাইফুল্লাহ আল আরিফ, মোঃ কামরুজ্জামান মোঃওহয়াব মামুনমোঃঅলিউল রহমান মোঃ আবুল কালাম, অব্দুর রব পলাশ,সমগ্র অনুষ্টান পরিচালনা করেন বিধান চন্দ্র মন্ডল কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বাপ্রশিক্ষক সমিতি ১২০৬৮ সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।