পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি : আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা অঞ্চলে হলুদের বাম্পার ফলন হয়েছে।এতে অল্প খরচেবেশী লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা। বর্তমান মূল্যে লাভ হলেও আশানুরুপ মূল্য পাচ্ছেনা বাজার গুলোতে। জানা যায় এই অঞ্চলে উঁচু, সমতল, পতিত ও ফল বাগানের জমিতে গত বছরের তুলনায় ব্যাপক হারে হলুদের চাষ হয়েছে বেশী। তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার মিঠাবাড়ি গ্রামের হলুদচাষী সাইফুল মোড়ল বলেন, গতবছর হলুদের বাজার ছিলো অনেক ভালো। দামভালো দেখে তিনি এই মৌসুমে ৬৬ শতাংশের ভিটা জমিতে হলুদের চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ৬৬ শতাংশ জমি থেকে উৎপন্ন হয়েছে ১৮৯ মন হলুদ। যেখানে গত বছর উৎপন্ন হয়েছিলো ৮৮ মণ। কিন্তু গত বছরের তুলনায় হলুদের ফলন ভালো হলে বাজারে মূল্য গতবারের চেয়ে মন প্রতি ৬০০ টাকা কম। গত বছর হলুদের প্রতিমনের বাজার মূল্যে জাতভেদে ১২০০ থেকে ১৩৫০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু এই বছর বাজার গুলোতে হলুদের মূল্য ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। ৬৬ শতাংশ জমিতে হলুদের চাষ করতে মোট খরচ হয়েছে ১৯ হাজার ৮০০ টাকা। বর্তমান বাজারের মূল্য অনুযায়ী উৎপন্নকৃত হলুদের দাম পাওয়া যাবে প্রায় সোয়া লাখ টাকা।খরচ বাদে তার প্রায় লাখ টাকা লাভ হবে বলে জানান। গতবছর দাম ভালো দেখে পেপে রোপনের দেড় বিঘা জমিতে এবার পেপে চাষ না করে হলুদের চাষ করেছেন। উৎপাদন হয়েছে অনেক বেশী। তবে বর্তমান বাজারের তুলনায় একটু বেশী দাম পেলে ভালো লাভ হবে জানায় তালা উপজেলার বড়বিলা গ্রামের হলুদচাষী আনোয়ার হোসেন। পুটিয়াখালী গ্রামের সফল হলুদচাষী শেখ মিলন বলে, তিনি প্রতিবছর হলুদের চাষ করেন। তিনি এক একর জমিতে আমের বাগান তৈরী করেছেন। বিগত চার বছর যাবৎ সেই আম বাগানেই হলুদের চাষ করছেন। গত বছর প্রায় ৯৯০ মণে বিক্রয় করেছি । এবার তিনি একই জমিতে হলুদ উৎপাদন করেছেন । গত বছরের তুলনায় বর্তমান বাজার মূল্য একটু কম হলেও উৎপাদন বেশী হওয়ায় লাভের মূখ দেখছেন তিনি। এ বিষয়ে পাটকেলঘাটা বাজারের বিশিষ্ট হলুদ ব্যবসায়ী শেখ মেহেদী হাসান বলেন, হলুদ চাষ অল্প খরচ ও অল্প পরিশ্রমের লাভ জনক একটি ফসল। অনেক এলাকায় সাথী ফসল হিসেবেও হলুদের চাষ হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কৃষকরা একের ভিতর দুইটি থেকে তিনটি ফসলের চাষ করে ব্যাপক ভাবে লাভের মুখ দেখছেন। এই অঞ্চলের পতিত, ভিটা ও পরিত্যাক্ত জমি গুলোতে পর্যাপ্ত ভাবে হলুদের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া হলুদ চাষের জন্য বেশ উপযোগী হওয়ায় ফলন হয়েছে বাম্পার।