মোংলা প্রতিনিধিঃ মোংলায় দরিদ্র জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত ঝাটকা কার্ড জেলে পরিবারকে না দিয়ে ২ হাজার টাকা করে অন্যত্র বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে চিলা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর রোজিনা বেগম ও নজরুল শেখের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসী ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জনপ্রতিনিধি জানান, চিলা ইউনিয়নের জন্য ১১৮টি ঝাটকা কার্ড বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বর নজরুল শেখ ১৫টি ও ৭, ৮ এবং ৯ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মেম্বর রোজিনা বেগম ৫টি কার্ড পান। কিন্তু দরিদ্র জেলেদেরকে সেই কার্ড না দিয়ে জয়মনির জনৈক হারুনকে দিয়ে মহিলা মেম্বর রোজিনা তার ৫টি কার্ড ২ হাজার টাকা করে বিক্রি করান। এ বিষয়ে রোজিনা বেগম বলেন, আমি মাত্র ৫টি কার্ড পেয়েছি। আর নজরুল মেম্বর ১৫টি কার্ড পেয়েছেন। তিনি তো ১৫টি কার্ডই বিক্রি করে দিয়েছেন। দোষ শুধু মহিলা মেম্বরের। ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বর নজরুল শেখ বলেন, আমি যে ১৫টি কার্ড পেয়েছি তা গরীব জেলে বাছাই করে তাদের মাঝে বিতরণ করেছি। তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত কার্ড বিক্রির অভিযোগ সত্য নয় বলে তিনি দাবী করেন। মেম্বরদের ঝাটকা কার্ড বিক্রির অভিযোগের প্রেক্ষিতে চিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন বলেন, রোজিনা মেম্বর ঝাটকা কার্ড ২ হাজার টাকা করে বিক্রি করেছেন বলে তিনি শুনেছেন, জেনেছেন এবং অভিযোগও পেয়েছেন। তবে নজরুল মেম্বরের বিষয়টি তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, ঝাটকা কার্ড কোন কোন মেম্বর বিক্রি করেছে তা নজরুল মেম্বর জানে তার কাছে শোনেন সে ভাল বলতে পারবে। চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন আরো বলেন, ঝাটকা কার্ডধারী প্রতি দরিদ্র জেলেকে মাসে ৪০ কেজি করে চাল দেয়ার উদ্দেশ্য হলো ঝাটকা ইলিশের মৌসুমে তারা যেন ঝাটকা ধরা থেকে নির্বৃক্ত থাকেন। এ বিষয়ে মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রবিউল ইসলাম বলেন, ঝাটকা কার্ড বিতরণে অনিয়ম কিংবা বিক্রির কোন অভিযোগ তার কাছে এখনও আসেনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।