মোংলায় স্ত্রীকে হত্যাকারী ঘাতক স্বামী আটক

প্রকাশঃ ২০১৭-১২-২৩ - ১৫:১২

আবু হোসাইন সুমন, মোংলা : মোংলার বাজিকরখন্ড এলাকায় গলা কেটে ও কুপিয়ে স্ত্রীকে হত্যার একদিন পর ঘাতক স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার ভোর ৬টার দিকে মাদুরপাল্টা বাজারের একটি চায়ের দোকান থেকে তাকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে হত্যাকারী মহিউদ্দিন ও তার পিতা-মাতাসহ ৯ জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহত লাইজুর পিতা নজরুল ইসলাম খান। অপর আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: ইকবাল বাহার চৌধুরী। এদিকে নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও নিহতরে পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাজিকরখন্ড গ্রামের নিজাম মৃধার ছেলে মহিউদ্দিন মৃধার (২৮) সাথে ৩ বছর পূর্বে বিবাহ হয় একই এলাকার নজরুল ইসলাম খানের মেয়ে লাইজুর (২২)। বিবাহের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর সাংসারিক জীবনে কহল বিবাদ চলে আসছিল। কহলের জের ধরেই লাইজু কয়েকদিন আগে স্বামীর বাড়ী ছেড়ে পিতার বাড়ীতে দিয়ে আশ্রয় নেয়। এরপর মিমাংসার কথা বলে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে স্ত্রী লাইজুকে পিতার বাড়ী থেকে স্বামী মহিউদ্দিন তাদের বাড়ীতে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাত পার হতে না হতেই শুক্রবার ভোরে ঘরের মধ্যে লাইজুকে ধারালো অস্ত্র (কেইচি) দিয়ে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করে। পরে খবর পেয়ে মেয়ের পিতা নজরুল ইসলাম খান আশপাশের লোকজনের সহায়তায় ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে দেখেন ঘরের মধ্যে জামাই মহিউদ্দিন দাড়িয়ে আর মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে তার মেয়ে। তিনি তাৎক্ষনিকভাবে মেয়েকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক লাইজুকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এ ঘটনার পর হত্যাকারী স্বামী মহিউদ্দিন মৃধা আত্মগোপন করেছিলেন। ঘটনার একদিন পর শনিবার ভোর ৬টার দিকে বাজিকরখন্ড সংলগ্ন মাদুরপাল্টা বাজারের একটি দোকানে বসে চা পান করার সময় পুলিশ মহিউদ্দিনকে আটক করে। মহিউদ্দিন আটকের পর নিহত লাইজুর পিতা নজরুল ইসলাম শনিবার দুপুরে থানায় একটি মামলা দায়েরে করেছেন।