সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : ‘ভিটামিন এ খাওয়ান,শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমান’। শ্লোগান নিয়ে সাতক্ষীরায় এ প্লাশ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টায় আমতলা মোড়স্থ সূর্যের হাসি ক্লিনিকের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রধান অতিথি হিসাবের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. তাওহিদুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, এলজিইডি’র উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ খান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রওশন আরা জামান, মেডিকেল অফিসার ডা: আরিফুজ্জামান, স্বাস্থ্য বিষয়ক তত্বাবধায়ক জগদিশ চন্দ্র। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সূর্যের হাসি ক্লিনিকের মেডিকেল অফিসার ডা: সাবেরা সুলতানা, ডা: নিশাত ফারজানা,ডা; মাসুদুর রশিদ, ম্যানেজার মো; মফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এসময় অতিথিবৃন্দ বলেন, এবার সাতক্ষীরা জেলায় ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সবী ২ লাখ ৫ হাজার ৫৪৬ জন এবং ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৪ হ্জাার ৭৫২ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সব মিলিয়ে এসব শিশুর সংখ্যা ২ লাখ ৩০ হাজার ২৯৮জন।
গত আগস্টে প্রথম রাউন্ডে জেলাব্যাপী ভিটামিন ‘এ’ ক্যপসুল খাওয়ানো হয়েছে শিশুদের। সকল মৃত্যুকে ২৪ শতাংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ। করন সভায় আরও বলা হয় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ালে শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে। ভিটামিন এর অভাব হলে মায়ের গর্ভে থাকা শিশুও পুষ্টিহীন হয়ে পড়ে। চোখের দৃষ্টি শক্তি স্বাভাবিক রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই ভিটামিন এ ক্যপসুল খাওয়ানো জরুরি বলে মন্তব্য করেন তারা। ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর ফলে এখন আর রাতকানা রোগী খুব একটা দেখা যায় না বলে এতে জানানো হয়।
সাতক্ষীরা জেলার সাতটি উপজেলা ও দুটি পৌরসভার ৭৮ টি ইউনিয়নের ২৩৪ টি ওয়ার্ডে শিশুদের ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ জন্য ২০৩১ টি টিকাদানকেন্দ্রে সেবা দেওয়ার জন্য ৬২১ জন সরকারি ও ২১৮ জন বেসরকারি কর্মী ছাড়াও চার হাজার ৬২ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন।
আয়োজকরা সচেতনতা সৃষ্টির জন্য আরও বলেন ভিটামিন ‘এ’ এর প্রাণিজ উৎস মায়ের দুধ, শাল দুধ, ডিম, দুধ, কলিজা, মাছ ও মাংস। এ ছাড়া গাঢ় রংয়ের শাকসবজি, , মিষ্টি আলু, গাজর, মিষ্টি কুমড়া, লাল শাক, কচু শাক, পুঁই শাক, পালং শাক শালগম ইত্যাদি উদ্ভিদ উৎস। ভিটামিন ‘এ’ এর অন্যতম উৎস হলুদ ফলমুল। এর মধ্যে রয়েছে পাকা আম, পাকা পেঁপে, পাকা কাঁঠাল ইত্যাদি।