সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় পৃথক ঘটনায় দুই ছাত্রী ধর্ষিতার অভিযগো উঠেছে। এঘটনায় পুলিশ দু’জনকে আটক করেছে। দুপুরে সাতক্ষীরা শহরের গড়েরকান্দা এলাকায় ৭বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠে।
এঘটনায় পুলিশ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে । আটককৃত ব্যক্তি শহরের ইটাগাছা পূর্বপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল বারীর ছেলে কওছার আলী (৫৫)। স্থানীয়রা ও ওই শিশু জানায়, ওই শিশু মেয়ে পিকনিকে যাওয়ার জন্য পাশের ফুল আনতে যায়। যাওয়ার পথে গড়েরকান্দা এলাকার রাস্তার পাশেই কওছারের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ওই শিশুকে ডাক দেয়। তার হাতে ৩০টাকা দিয়ে ওই শিশুর গোপনস্থানে হাত দেয়। এসময় ওই শিশু চিৎকার দিলে তাকে ছেড়ে দেয়। পরে ওই শিশুর পরিবার স্থানীয়রা তার কাছে জানতে চাইলে তাদের কে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ এসে ওই শিশুর জবানবন্দীর ভিত্তিতে লম্পট কওছারকে আটক করে। এব্যাপারে ইটাগাছা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই উত্তম বলেন, কওছার ওই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। তার প্রমাণ পেয়ে আমরা তাকে আটক করেছি। উল্ল্যে, লম্পট কওছার গত ৮মাস আগে এধরণের একটি ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
অন্যদিকে মঙ্গলবার দুপুরে কলারোয়া উপজেলার কুশডাঙা ইউনিয়নের একটি গ্রামে চতুর্থ শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষীতার অভিযোগ উঠে। বুধবার সকালে পুলিশ ধর্ষণের অভিযোগে আজিজুল সরদার (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত আজিজুল কুশডাঙ্গা গ্রামের মৃত জিয়া উদ্দিন সরদারের ছেলে। ধর্ষিতা স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী।
ওই মেয়েটির মা জনান, গত মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির পার্শ্ববর্তী গাজীর মাঠে তার মেয়ে সরিষার ফুল তুলতে যায়। এসময় আজিজুল সরদার তাকে কৌশলে আলু ক্ষেতে ডেকে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। শিশুটির আত্মচিৎকারে মাঠে কর্মরত আনছার আলী, আনেছা খাতুন, ফরিদা খাতুন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে তাকে খবর দেন।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার নাথ জানান, নির্যাতিত স্কুল ছাত্রীর মা বাদি হয়ে আজিজুল সরদারের নাম উল্লেখ করে মঙ্গলবার রাতেই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের কাজ শেষ হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগে আজিজুল সরদারকে বুধবার ভোরে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ০৩/০১/১৮