রবিউল ইসলাম মিটু,যশোর : সরকারী কর্মচারী হিসাবে ঘুষ গ্রহনসহ ক্ষমতা অপব্যবহার ও আসদাচরণ করার অপরাধে যশোর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ে কর্মরত ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নাজমুল কবীরের বিরুদ্ধে গ্রেফতার দেখিয়ে ১৬১ পেনাল কোড তৎসহ ১৯৪৭ সালের ৫(২) ধারা মোতাবেক যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঢাকা-১ দূর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে বুধবার মামলাটি দায়ের করেছেন। মোহাম্মদ নাজমুল কবীরকে কোতয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করার পর বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন।
কোতয়ালি মডেল থানায় দায়েরকৃত এজাহারে জাহাঙ্গীর আলম উল্লেখ করেছেন, যশোর শহরের ২৭ লোন অফিস পাড়ার শেখ আব্দুল ওহাবের ছেলে শেখ মহব্বর আলীর নামে দেশীয় মদের লাইসেন্স রয়েছেন। তিনি চলতি অর্থবছরে লাইসেন্স নবায়ণ ফি বাবদ ৮ হাজার টাকা সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে চালান এবং ভ্যাটের চালান ফি প্রদান করে উক্ত ভারপ্রাপ্ত উপ- পরিচালকের দপ্তরে যান। সেখানে যাওয়ার পর উক্ত কর্মকর্তা নবায়ন বাবদ ৩লাখ টাকা দাবি করেন।লাইসেন্সী উক্ত ঘুষ দিতে প্রথমে অপারগতা প্রকাশ করে। এক পর্যায় তিনি ঘুষের রেট কমিয়ে আনার প্রস্তাব দিলে উক্ত কর্মকর্তা রাজী হন। শেখ মহব্বত আলী চুক্তিকৃত ঘুষের টাকা সংগ্রহের সময় চেয়ে উক্ত অফিস থেকে ফিরে যান। পরবর্তীতে ২ জানুয়ারী ঘুষের টাকা প্রদানের সময় দেন উক্ত কর্মকর্তা। শেখ মহব্বত আলী ঘুষের ব্যাপারে দূর্নীতি দমন কমিশন ঢাকায় আবেদন জানালে সেখান থেকে একটি টিম ঘুষের টাকাসহ কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের জন্য অনুমতি চান। উক্ত অনুমতি পাওয়ার পর দূর্নীতি দমন কমিশনের ঢাকার টিম যশোরে আসেন। এদিকে বুধবার ৩ জানুয়ারী বিকেল ৩ টা ২০ মিনিটের সময় শেখ মহব্বত আলী উক্ত দপ্তরে যান। সেখানে ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নাজমুল কবীর শেখ মহব্বত আলীর কাছ থেকে ১ হাজার টাকার দুইশ’টি নোট গ্রহন করেন। উক্ত টাকা ইতিপূর্বে দূর্নীতি দমন কমিশনের কাছে ফটোকপি রাখাছিল। উক্ত ফাঁদ মামলা অনুসারে দূর্নীতি দমন কমিশনের ঢাকার টিম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ঘুষের ২লাখ টাকা ও আলমারীর মধ্যে থাকা আরো ৮০ হাজার ২শ’ টাকা জব্দ করে।উক্ত টাকার ব্যাপারে জানতে চাইলে সন্তোষজনক কোন উত্তর পাননি।