ঢাকা অফিস : আইনশৃঙ্খলা খাতে অর্থ বরাদ্দকে সরকার ব্যয় হিসেবে দেখে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অর্থকে তারা বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করেন। জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি পুলিশে নতুন নিয়োগের কথাও জানান তিনি।
সোমবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে পাঁচ দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী এই কথা বলেন।
২০০৯ সালে সরকারে আসার পর পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোতে ৩২ হাজার ৩১টি এবং ২০১৪ সালে আরও ৫০ হাজার পদ তৈরির কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। জানান, এরই মধ্যে ৪৪ হাজার নতুন পদে নিয়োগ হয়েছে। ভবিষ্যতে পুলিশের জনবল আরও বাড়বে।
স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থকে আমরা কখনও ব্যয় মনে করি না, বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করি। কাজেই আমরা বাংলাদেশ পুলিশের সার্বিক উন্নয়নের ধারা বর্তমান মেয়াদেও পূর্ণমাত্রায় অব্যাহত রেখেছি।’
পুলিশ ব্যুরো অর ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই, নৌ পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, দুটি স্পেশাল ও সিকিউরিটি প্রটেকশন ব্যাটালিয়ান, নারী আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানসহ বিশেষায়িত ইউনিট প্রতিষ্ঠার কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘ব্যক্তি নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করার লক্ষ্যে সরকার বিশেষায়িত গার্ড অ্যান্ড প্রটেকশন ইউনিট গঠনেরও পদক্ষেপ নিয়েছে।’
মেট্রোপলিটন সিটিগুলোকে পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামো বাড়ানোসহ নতুন থানা ও ইউনিট গঠন অব্যাহত রাখা, পুলিশ একাডেমিসহ দেশের সব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উন্নয়ন পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির বিষয়টি আমাদের সরকার সব সময় গুরুত্ব দিয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে আমাদের কাছে কিছু চাইতে হয় না। আমরা নিজ উদ্যোগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করি।’
‘কারণ, আমরা রাজনীতি করি জনগণের স্বার্থে, জনগেণের কল্যাণে। জনগণের সেবা যারা দেবে তাদের সহায়তা করা আমাদের কর্তব্য বলে আমরা মনে করি।’