কোটা আন্দোলনের সংঘাতে নিহতদের গায়েবানা জানাজার পর বায়তুল মোকাররম থেকে বের করা বিএনপির মিছিল লাঠিপেটা ও কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। বিএনপির কর্মীরাও ঢিল ছুড়ে পাল্টা জবাব দিয়েছেন।
বুধবার বায়তুল মোকাররম মসজিদে গায়েবানা জানাজা শেষে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করলে তাতে বাঁধা দেয় পুলিশ। মসজিদের উত্তর গেইটে দিয়ে বেরনোর সময় পুলিশ মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে লাঠিপেটা ও কাঁদুনে গ্যাস ছোড়ে। এক পর্যায়ে সাউন্ড গ্রেনেডেরও বিস্ফোরণ ঘটায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সে সময় মিছিলের নেতাকর্মীরা আশপাশের গলিতে ঢুকে পুলিশের দিকে ঢিল ছুড়তে থাকেন। প্রায় ২০ মিনিট ধরে চলে এ পরিস্থিতি। মঙ্গলবার কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষে ঢাকায় দুইজন, চট্টগ্রামে তিনজন এবং রংপুরে একজন নিহত হন। আহত হন কয়েকশন মানুষ।
বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনের রাজনৈতিক দলগুলো বুধবার বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম মসজিদে নিহতদের গায়েবানা জানাজার কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল আগেই। ঢাকায় বায়তুল মোকাররমে মসজিদসহ সারাদেশে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়। তবে বেলা ১২টা থেকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণ গেইটে অবস্থান নেয় পুলিশ। অনেককে মসজিদে প্রবেশ করতেও দেয়া হয়নি বলে বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেছেন। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা জোহরের আজানের পর মসজিদে প্রবেশ করেন। নামাজ শেষে মূল মসজিদের বারান্দায় গায়েবানা জানাজা হয়। জানাজা শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর নেতাকর্মীদের নিয়ে মসজিদ থেকে বের হন। এ সময়ে পুলিশ উত্তর গেইট পুরোটা খুলে না দিলে নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে মিছিল নিয়ে সামনে এগোতে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, “পুলিশ আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে মসজিদে ঢুকতে দেয়নি। ঘটনাস্থল থেকে আমাদের কয়েকজন কর্মীকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।” এ বিষয়ে বায়তুল মোকাররম এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশের কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি।