বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা!

প্রকাশঃ ২০২৪-০৮-০৮ - ১৯:৫৭

ইউনিক ডেস্কঃ নিখোঁজ এম ইলিয়াস আলী। বিএনপির প্রভাবশালী এই নেতার নিখোঁজ পর, দেশ জুড়ে শুরু হয় তোলপাড়। ছড়িয়ে পড়ে বিদেশের মাটিতে। ফিরে পেতে বৃদ্ধা মা স্ত্রী-সন্তানের আকুতি। সেই সাথে বি্এনপি নেতাকর্মীদের জানবাজী আন্দোলন। এক পর্যায়ে জনদাবীতে পরিণত হয় ইলিয়াস আলীর সন্ধানের দাবী। কিন্ত কোন কিছুই মন গলাতে পারেনি সদ্য বিদায়ি আওয়ামীলীগ সরকারকে। সরকার পতনের পর কুখ্যাত আয়না ঘর থেকে অনেকে উদ্ধার হলেও ইলিয়াস আলীকে ফেরতে দাবী আরো জোরালে হয়ে উঠে। দেশের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকে এবার হয়তো দেখা মিলবে ইলিয়াস আলীর। এমনিক ইলিয়াস আলীর সন্ধান মিলেছে এমন খবর রটে যায় সোস্যাল মিডিয়াজুড়ে। এতে উৎসুক মানুষের আগ্রহ বেড়ে যায় ইলিয়াস আলী ঘিরে। এরমধ্যে ১৫ ঘন্টা আগে ফেসবুকে এসে বাংলাদেশের পুলিশের এক কর্মকর্তা স্বেচ্ছায় বর্ণনা করলেন ইলিয়াস আলীকে হত্যার লোমহর্ষক ঘটনা।তার বর্ণ্নণঅ সত্য হলে, ইলিয়াস আলীকে ফেরত পাওয়ার আষা ভরসা জ্বল্পনা কল্পনার ইতি ঘটবে। কিন্ত এ বর্ণনার পরও হত্যার সত্যতা মেনে নিচ্ছে না তার পরিবার। তারা এখনো রয়েছেন ফেরতের অপেক্ষায়। ইলিয়াস আলীর পরিবার সংশ্লিষ্ট সাবেক ছাত্রদল নেতা মতিউল বারী চৌধুরী খুর্শেদ বলেন, সরকার সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্র আনুষ্টানিকভাবে নিশ্চিত না করা পর্যন্ত ইলিয়াস আলীর ব্যাপারে আমাদের দাবী সুস্থ অবস্থায় ফেরতের। অন্য কোন কিছুই বিশ্বাস করা কোন সুযোগ নেই, এবং সম্ভবও না। প্রকাশিত ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের এসআই পরিচয় দানকারী মাসুদ রানা বলছেন, গুম খুনের সাথে জড়িত ছিলেন সত্য চাকুরীচ্যুত সেনা বাহিনীর কর্মকর্তা মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান। মেজর অবস্থায় র্যাব এ যোগ দেন তিনি। এক পর্যায়ে র্যাব এর অতিরিক্ত পরিচালক (অপারেশন) হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। তিনি মুলত গুম খুনের সাথে সংশ্লিস্ট। এই পুলিশ কর্তকর্তা বলছেন ২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত র্যাবে কাজ করেছেন তিনি। এই সময় খুব কৌশলে প্রত্যক্ষ করেছেন র্যাব এর অতি গোপনীয় গুম খুনের মিশন। তিনি এমন মিশনের বর্ণনার ধারাবাহিকতার এক পর্যায় বলেন, আপনার যারা বি্এনপি নেতা ইলিয়াস আলীর জন্য অপেক্ষায় আছেন, তাদের জন্য দু:খজনক সংবাদ। তাকে অনেক আগেই হত্যা করা হয়েছে (যদিও হত্যার সুনিদিষ্ট সাল বা তারিখ, ঘটনার সময়কাল উল্লেখ করেননি)।চট্রগ্রামের প্রতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে কড়া পাহারায় সাগরের মাঝখানে স্পীড বোট এর মাধ্যমে নিয়ে মুখে পলিথির পেছিয়ে শ্বাস রুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। এক পর্যায়ে ছুরি দিয়ে পেট কেটে পাথর দিয়ে বেধে সাগরে ডুবিয়ে দেয়া হয়েছিল।’ পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, মানুষ খুনের বিভৎসতা অনেকে সহ্য করতে পারতো না, সেকারেন বাহনীর কিছু সদস্য দিয়ে টিম গঠন করা হয়, তারা মানুষ খুনে ব্যবহার হতো। সেই খুনিদের বড় অংকের টাকা উপহার দিতেন তৎকালীন র্যাব প্রধান বেনজির আহমদ। প্রকাশিত ভিডিওতে ঘুম খুন অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। সেই সাথে রয়েছে কান্না ঝরা নির্মম কিছু সত্যতের বর্ণনা।