মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিয়ের দাবিতে ৭ দিন ধরে প্রেমিকার বাড়িতে এক কলেজছাত্রী অবস্থান করছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের পাঁজাখোলা গ্রামের গোপাল মণ্ডলের বাড়িতে। অবস্থানরত কলেজছাত্রী পার্শবর্তী নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের গুলিয়াখালী গ্রামের বৃদ্ধ প্রতিবন্ধীর মেয়ে ও সরকারি সিরাজউদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজে অনার্স ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই কলেজ শিক্ষার্থী জানান, ১ বছর আগে পার্শ্ববর্তী জিউধরা ইউনিয়নের পাঁজাখোলা গ্রামের গোপাল মণ্ডলের ছেলে আকাশ মণ্ডলের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর থেকে দু’জনার মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। সেই ভালোবাসার টানে প্রায় ৯-১০ মাস আগে আকাশ মণ্ডল তার সিথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিয়ে স্ত্রীর মর্যাদা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। প্রায় ৯-১০ মাস আগে কপালে সিঁদুর পরেছি।
একপর্যায়ে, হঠাৎ করে আকাশ গত ২ সপ্তাহ ধরে মোবাইলে ফোনে যোগাযোগ বন্ধ করে গা ঢাকা দিলে প্রেমিকের খোঁজে শুক্রবার বিকেল থেকে ৭ দিন ধরে আকাশ মণ্ডলের বাড়িতে অবস্থান করছি।
সে আমার স্বামী, আমার দাবি একটাই স্ত্রীর মর্যাদা চাই। এখান থেকে কোথাও যাব না। যেতে হলে আমার লাশ যাবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আকাশ মণ্ডলের পিতা গোপাল মণ্ডল জানান, তাকে তারা আগে কখনো দেখেননি এবং কোনো পরিচয় জানে না। শুক্রবার বিকেল থেকে এসে পুত্রবধূর পরিচয় দিয়ে থাকছেন। তার ছেলে আকাশ ৪ দিন ধরে বাড়িতে আসে না। মোবাইল ফোনটি বন্ধ। তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই।
এ সম্পর্কে জিউধরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বাদশা ও নিশানবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, কলেজ ছাত্রীর বিষয়টি ছেলেমেয়ের উভয় পক্ষের অভিভাবকরা জানিয়েছেন। ছেলেকে হাজির করে আনুষ্ঠানিক বিয়ে বন্ধনের জন্য ছেলের পরিবারকে জানানো হয়েছে। ছেলে না আসা পর্যন্ত সে ওই বাড়িতেই থাকবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম তারেক সুলতান জানান, বিয়ের দাবিতে এক কলেজ শিক্ষার্থীর ৭ দিন ধরে অবস্থানের বিষয়টি আমার জানা নেই।সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা বিষয়টি জানালে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।