ইউনিক ডেক্সঃ রাজধানীর গেণ্ডারিয়ার বসুবাজার এলাকায় স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আনিসুর রহমানকে (৪০) প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। দলীয় নেতাকর্মীর অভিযোগ, বিরোধের জের ধরে স্থানীয় যুবলীগ নেতা রেজাউল কবির তিতাস তাঁকে হত্যা করেন।
গেণ্ডারিয়া থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে যায়। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলের পাশে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পাওয়া গেছে। তাতে একজনকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তদন্ত সূত্র জানায়, ফুটেজে স্থানীয় ৪০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা তিতাসকেই গুলি ছুড়তে দেখা গেছে। তিনি নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল থেকে গুলি ছোড়েন। পরে পিস্তলটি পাঞ্জাবির পকেটে ভরে এগিয়ে যান। নিজের বাসার কাছে গিয়ে একটি মোটরসাইকেলে উঠে তিনি পালিয়ে যান।
গেণ্ডারিয়া থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মকবুল ইসলাম টিপু বলেন, দয়াগঞ্জের অদূরে বসুবাজার এলাকায় থাকতেন আনিসুর রহমান। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ৪০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রাজনীতি ছাড়া তেমন কিছু করতেন না। তিনি অবিবাহিত ছিলেন। গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাসার কাছেই তাঁকে গুলি করেন যুবলীগ নেতা তিতাস। আশপাশের লোকজন এটা দেখেছেন। তা ছাড়া পুলিশ সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও পেয়েছে।
টিপু জানান, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিতাসের সঙ্গে বিরোধ হয় আনিসুরের। এর জের ধরেই তাঁকে হত্যা করা হয়।
এদিকে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলছে, তিতাস এলাকার একটি ভবনের ফ্ল্যাট ও পার্কিং দখল করে রেখেছিলেন। এগুলোর ভাড়া পেতেন তিনি। সরকার পতনের পর ওই ফ্ল্যাট ও পার্কিংয়ের জায়গার নিয়ন্ত্রণ পেতে চান আনিসুর। এ নিয়ে কয়েক দিন আগে তিনি তিতাসের সঙ্গে কথা বলেন। তখন তিতাস রাজি না হয়ে উল্টো হুমকি-ধমকি দেন। তাতেও দমে যাননি আনিসুর। এ নিয়ে বাদানুবাদ চলছিল। এর এক পর্যায়ে গতকাল বিকেলে তাঁকে ডেকে নিয়ে গুলি করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে সংকটাপন্ন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।