ইটালিয়ান সংস্থার সম্পদ আত্মসাতকারী সেই কালু এবার জেলে বসে জমি বিক্রির ফন্দি আটছে

প্রকাশঃ ২০২০-০১-৩১ - ১৮:৩৮

আজগর হোসেন ছাব্বির, দাকোপ : দাকোপে বিদেশী সংস্থার সম্পত্তি আত্মসাতমামলায় জেলে থাকা আসামী বহুল আলোচীত দীপক ওরফে কালু এবার জেলে বসে আত্মসাতকৃত সম্পত্তি বিক্রির পায়তারা করছে। স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের সাথে জমি বিক্রির গোপন চুক্তি সেরে সেই অর্থে মামলা পরিচালনার উদ্যোগ এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সংস্থাটির পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী মৃতুঞ্জয় জানায়, উপজেলা সদর চালনা আছাভুয়া এলাকায় ইটালিয়ান সংস্থা ফিলোদিওতার এক সময়ের পিয়ন দীপক রায় ওরফে কালু ওই সংস্থার অর্থ সম্পত্তি আত্মসাতের মামলায় বর্তমানে জেল হাজতে আছে। পিয়ন পদে চাকুরী নিয়ে ছলে বলে কৌশলে এক সময় নিজেকে সংস্থাটির পরিচালক দাবী করা কালু স্বনামে বেনামে সংস্থার অর্থে ক্রয়কৃত জমি আতœসাত করার অপচেষ্টা করে। বিষয়টি প্রকাশ হয়ে গেলে সংস্থার পক্ষ থেকে তার নামে প্রতারনা ও আতœসাতের অভিযোগে একাধীক মামলা দায়ের করা হয়। বর্তমানে এই অভিযোগে তার নামে ৮ টি মামলা চলমান আছে। সংস্থার অর্থে কেনা ৬৩ শতক জমি প্রতারনার মাধ্যমে নিজ নামে করায় তার বিরুদ্ধে সিআর দাকোপ ১৭/১৮ নং মামলায় বর্তমানে সে জেল হাজতে আছে। একই সম্পত্তি নিয়ে দেওয়ানী ১৫৯/১৭ বিজ্ঞ যুগ্ম ৪র্থ জেলা জজ আদালতে পৃথক একটি মামলা চলমান আছে। এমতবস্থায় ধুরন্ধর দীপক ওরফে কালু জেল হাজতে বসে বিচারাধীন বিরোধীয় ওই সম্পত্তি দাকোপের একটি প্রভাবশালী মহলের নিকট বিক্রির গোপন ষড়যন্ত্র করছে এমন দাবী করে সংস্থার ইটালিয়ান পরিচালক আলেসান্দ্রো মসিনি (আলেক্স) বলেন, সে আমাদের সাথে প্রতারনা করে নগত অর্থ এবং সম্পত্তি আত্মসাত করেছে। তিনি বলেন এখন যদি সে আমাদের সম্পত্তি বিক্রির সুযোগ পায় তাহলে প্রতিষ্ঠান অনেক বড় ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ভবিষাতে কোন সংস্থা মানব সেবাই কাজ করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। সংস্থাটির প্রতিবেশী এলাকাবাসীর কথা বলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আছাভুয়া এলাকার চিত্তরঞ্জন পাল, ইমান আলী সানা, মোক্তার শেখ, মোহন রায়, অধ্যাপক সঞ্জয় সাহা, সংস্থা পরিচালিত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দ্র শেখর, কল্পনা ঘোষসহ অনেকেই বলেন, এক সময়ের ভ্যানচালক কালুর আত্মসাতকৃত সঞ্চিত অর্থ হয়ত শেষের পথে। যে কারনে সে এখন সংস্থার অর্থে কেনা এই সম্পত্তি বিক্রি করে মামলা পরিচালনার ফন্দি এটেছে এমন তথ্য জানা গেছে। তারা দাবী করে জেলে বসেই অলিখিত বিক্রয় চুক্তি হয়ে গেছে। বর্তমান বাজার মূল্য অপেক্ষা অনেক কম মূল্যে ওই সম্পত্তি বিক্রির সির্দ্ধান্ত নেওয়ায় স্থানীয় প্রভাবশালী মহল সুযোগটি লুফে নিয়েছে। এখন অপেক্ষা জামিনে এসে জমি রেজিষ্ট্রি করে দেবে। সংস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট সেবা মূলক বিভিন্ন বিদ্যালয় প্রধান এবং এলাকার সুশীল সমাজ ধুরন্ধর কালুর এই অপকর্ম রুখতে বিচারীক আদালতসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষন করেছে।