কাশিয়ানীতে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর অভিযোগ

প্রকাশঃ ২০১৮-০৩-২০ - ১৫:৪৩

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার নড়াইল খান বিল্লাল এম, বি, এ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হরে কৃষ্ণ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য এবং ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা করছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই স্কুলের শিক্ষক হরে কৃষ্ণ বিশ্বাস বিভিন্ন সময় স্কুল ছাত্রীদের যৌন হয়রানী করে আসছিল। লোকলজ্জার ভয়ে ওই সব ছাত্রীদের অভিভাবকরা বিষয়টি চেপে যেতেন। সম্প্রতি এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানী করলে বিষয়টি প্রকাশ পায়। একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে স্কুল শিক্ষকের অনৈতিক কর্মকান্ডের কথা।
পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী রিয়া মনি জানান, শিক্ষক হরে কৃষ্ণ বিশ্বাস প্রায়ই তাদের (ছাত্রীদের) জড়িয়ে ধরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দেয়। তারা স্যারের ভয়ে বিষয়টি কাউকে বলতে সাহস পায় না। ওই বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রীকে তিনি এ ভাবে যৌন হয়রানী করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
শিক্ষার্থীর অভিভাবক আফরোজা বেগম বলেন, ছাত্রীরা স্কুলে গেলে শিক্ষক হরে কৃষ্ণ বিশ্বাস তাদের শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয়। ছাত্রীরা ভয়ে কাউকে না বললেও এখন ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। আমরা ওই দুশ্চরিত্র শিক্ষকের বিচার চাই।
মিতা বেগম নামে অপর এক অভিভাবক বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক বিভিন্ন সময় ছাত্রীদের যৌন হয়রানী করে আসছে বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এর সুষ্ঠ বিচার হওয়া উচিত।
তবে অভিযোগের ব্যাপারে হরে কৃষ্ণ বিশ্বাসের সাথে কথা বলতে স্কুলে গেলে তিনি সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে বাইসাইকেল চালিয়ে স্কুল থেকে পালিয়ে যান।
সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরা খাতুন বলেন, আমি ইউএনও স্যারের নির্দেশে ওই স্কুলে গিয়ে ছাত্রীদের সাক্ষাতকার নিয়ে এসেছি। তদন্ত কমিটি গঠন করে অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তবে ঘটনা কিছুটা ঘটেছে বলে ধারণা করছেন তিনি।
কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম মাঈন উদ্দিন বলেন, লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। তবে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানতে পেরেছি।
কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আজিজুর রহমান বলেন, এ ধরণের কোন অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।