কয়রায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীর ছড়াছড়ি

প্রকাশঃ ২০১৯-০১-২৯ - ১৫:১৬

ইমতিয়াজ উদ্দিন, কয়রা (খুলনা) : আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে কয়রায় ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এবার আগ থেকেই জোরেশোরে মাঠে নেমেছেন। তবে প্রচারণায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা দিনদিন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। এতে প্রার্থী চয়েস নিয়ে বিপাকে রয়েছেন দলের সাধারণ নেতাকর্মীরা। বিশেষত ভাইস চেয়ারম্যান পদে দীর্ঘ প্রার্থী তালিকা দেখে নেতাকর্মীরা পড়েছেন সিদ্ধান্তহীনতায়। কার পক্ষে মাঠে নামবেন তা নিয়ে রীতিমতো বিব্রত তারা। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান আটজন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে এগারজন ইতিমধ্যেই আলোচনায় এসেছেন । অপরদিকে বিএনপির নির্বাচন না করার সিদ্ধান্তে তাদের কোনো তৎপরতাই নেই। নেতাকর্মীরা একেবারেই নিরব রয়েছেন। আওয়ামী লীগের শরিকদেরও মাঠে দেখা যাচ্ছে না। তবে বেশি প্রার্থী থাকায় বাছাইতে আওয়ামী লীগ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার কারণে গ্রুপিং-কোন্দলেরও আশঙ্কা রয়েছে। বিগত নির্বাচনে কয়রা উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তিনটি পদেই ছিল বিএনপি-জামায়াত জোটের দখলে। আসন্ন নির্বাচনে তিনটি পদই দখলে নিতে চায় আওয়ামী লীগ। এজন্য সম্ভাব্য প্রার্থীরা হুমড়ি খেয়ে মাঠে নেমেছেন। জোরেশোরে চালাচ্ছেন প্রচারণা।
কয়রা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য তিন প্রার্থী হলেন- উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম মোহসিন রেজা, যুবলীগের সভাপতি ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ পুস্তক বাঁধাই ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে- এ্যাড. আবু জাফর, এ্যাড. মোশারাফ হোসেন, এ্যড. কমলেশ চন্দ্র সানা, এ্যাড. আরাফাত হোসেন, খগেন্দ্র নাথ মন্ডল, সুজিত কুমার রায়, অলিউর রহমান খোকা ও আবু তাহের প্রিন্সের নাম শোনা যাচ্ছে।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে- নাসিমা আলম, খালেদা আক্তার, নিলিমা চক্রবর্তী, সাকিনা কবির, হাসিনা পারভীন, দিলরুবা খানম, সুচিত্রা, নাহার পারভিন, আয়শা খাতুন, হোসনেআরা ও বুলির নাম শোনা যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়াও শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এরইমধ্যে প্রার্থী নির্ধারণে তৃণমূলে চিঠিও পাঠিয়েছে দলটি। প্রতি উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের বিপরীতে তিনজন করে প্রার্থীর নাম কেন্দ্রে পাঠাতে জেলা কমিটিগুলোকে বলা হয়েছে। এরই আলোকে প্রার্থী বাছাই করতে কয়রা উপজেলায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নিয়ে বর্ধিত সভা করবে আওয়ামী লীগ। তবে জেলা আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে, অভিজ্ঞতা ও সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয়, দলের প্রতি নিবেদিত ও ত্যাগী- এমন নেতাই মনোনয়নে যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি অধিক গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় আনা হবে। এছাড়া থাকতে হবে সততা, নিষ্ঠা, দলের জন্য নিবেদিত ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির। বিতর্কিতরা অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।