কয়রায় লবন সহিঞ্চু সুর্যমুখী চাষে ভাল ফলনের আশা কৃষকের

প্রকাশঃ ২০১৮-০২-২৫ - ১৬:১৬

ইমতিয়াজ উদ্দিন, কয়রা(খুলনা): কয়রায় লবন সহিঞ্চু সুর্যমুখী চাষ করে ভাল ফলন পাবে বলে আশাবাদি কৃষকরা। সুর্যমুখী চাষ করে পরিচর্যায় এখন মাঠে অধিক ব্যস্ত কৃষকরা। ভাল ফলন পাবে এই আশায় বেশ খুশি বলে অভিমত ব্যক্ত করেছে তারা। সরেজমিনে দেখা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, দৌলতপুর খুলনার আওতাধীন এম এল টি সাইট কয়রায় লবন সহিষ্ণু ফসলের উপযোগীতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নে বিভিন্ন ধরনের ফসলের জাতের উপর গবেষণা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।এর মধ্যে বার্লি, ধনিয়া, মৌরি, গম, সুর্যমুখি, ভুট্রা, সরিষা, মরিচ ও আলু। আর গবেষনার মাধ্যমে ইতিমধ্যে এসব ফসলের বিভিন্ন জাত লাগানো হয়েছে। সরেজমিন গবেষনা বিভাগের বৈজ্ঞানিক সহকারি মোঃ জাহিদ হাসান বলেন, গত ২৮ নভেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত লাগানো এ সব ফসলের ভিতরে বারি বার্লি-৭, বারি গম ২৫, বারি হাইব্রিড ভুট্রা-১২, বারি ধনিয়া-২, বারি মৌরি-২ বারি সুর্যমুখী-২, বারি সরিষা-১৫, বারি আলু-৭২ জাতের ফসল খুবই ভালো হয়েছে। এবং এগুলো লবন সহিষ্ণু জাত হিসাবে চাষ করলে দক্ষিন অঞ্চলে এক ফসলী জমি দু ফসলী হয়ে যাবে এ লক্ষেই তারা কাজ করছে। উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের কৃষক শাহিদুল ইসলাম বলেন, আমন মৌসুনে ধান লাগানোর পর তাদের জমিগুলো পড়ে থাকতো। কৃষি গবেষনার মাধ্যমে তারা দুইটি মাত্র সেচ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলাতে পেরেছে। ভাল ফসল দেখে তারা খুবই আনন্দিত। তিনি আরও বলেন,কৃষি গবেষনার মাধ্যমে সুর্যমুখী ও বার্লি চাষের প্রশিক্ষন পেয়েছি। প্রশিক্ষন পেয়ে আমরা খুবই উপকৃত হয়েছি। বার্লির অনেক পুষ্ঠিগুন সম্পর্কে জানতে পেরেছি। অপর দিকে স্থানীয় কৃষক মোঃ সুলাইমান হোসেন বলেন চলতি বছর বারি আলু ৭২ চাষ করে বিঘা প্রতি আমরা ৮০/৮৫ মন আলু পেয়েছি। সরেজমিন গবেষনা বিভাগের মাধ্যমে আলু চাষের উপর প্রশিক্ষন পেয়ে তা অনুকরন করে এ ভাল ফসল উৎপাদন করে পেরেছে বলে তিনি জানান। তার মতে আরো এ ধরনের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করলে তারা খুবই উপকৃত হবে বলে মনে করেন। সরেজমিন গবেষনা বিভাগের এম,এলটি সাইটে দায়িত্বরত বৈজ্ঞানিক সহকারি মোঃ জাহিদ হাসান বলেন,বারি আলু ৭২ তাপও লবন সহিষ্ণু একটি জাত। তিনি নিয়মিত ফিল্ড পরিদর্শন করে লবনের ডাটা সংগ্রহ করে সকল ধরনের পরামর্শ দিয়ে কৃষকদের ফসল উৎপাদনে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। তবে স্থানীয় কৃষকদের আগ্রহ দেখে তিনি আরও উৎসাহিত হয়ে পড়ছে। স্থানীয় কৃষকরা কয়রার সকল এলাকায় এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে। সরেজমিন গবেষনা বিভাগ খুলনার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হারুন-অর রশিদ বলেন,লবন প্রবন এলাকা কয়রার কৃষকদের লবন সহিঞ্চু ফসল উৎপাদন করতে তার বিভাগ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে। তিনি নিয়মিত এলাকা পরিদর্শন করে কৃষদের সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন বলেও তিনি জানান।