খুমেক হাসপাতালে ডেঙ্গু টেস্টে ভিন্ন রিপোর্টের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশঃ ২০১৯-০৮-১৮ - ১২:০৭

সন্ধানী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আটক ২ জনকে জিম্মায় মুক্তি

খুলনা অফিস : ডেঙ্গু টেস্টে ভিন্ন রিপোর্ট ঘটনায় খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শনিবার ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটিকে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে সুস্পষ্ট মতামত সহকারে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। এর আগে ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাতে খুমেক হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর প্লাটিলেট টেস্ট নগরীর বেসরকারি সন্ধানী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রোগীর প্লাটিলেট এর টেস্ট ভুল রিপোর্ট দাবি করে হাসপাতালে রোগীর স্বজনরা সন্ধানী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দুই কর্মচারীকে আটক করে। পরে সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুুলিশ এসে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রোগী রেজাউল হোসেনের বড় ভাই আফজাল হোসেন থানায় সন্ধানী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে ১৬ আগস্ট সন্ধানী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সহকারী ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট অশিষ রায় ও তার ভাই দেবাশীষকে সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশ মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন। ডাক্তার সুকুমার সাহা মুচলেকা দিয়ে তাদেরকে ছাড়িয়ে আনেন বলে থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই রোহিত কুমার বিশ্বাস জানান।
খুমেক হাসপাতালে পরিচালক ডাঃ এটি এম এম মোর্শেদ শনিবার এ প্রতিবেদককে বলেন, সন্ধানী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুল রিপোর্ট বিষয়ে পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ঘটনার তদন্তের জন্য ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, রোগীর প্লাটিলেট টেস্টে সন্ধানী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রিপোর্ট ভুল না সঠিক এটা তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। আমাদের প্যাথলজি বিভাগের তথ্য সঠিক দাবি করে তিনি বলেন, তা না হলে ওই সব রোগীর শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ থাকতো। তারা তো এখন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
খুমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নগরীতে সন্ধানী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দুই কর্মচারী আটক চিকিৎসক সাক্ষরে ডেঙ্গু রিপোর্টে ভুল তথ্যসংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত কমিটিতে খুমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ এস এম কামালকে সভাপতি করা হয়। এছাড়া কমিটির অন্যান্য সদস্যের মধ্যে সিনিয়র কনসালট্যান্ট (মেডিসিন বিভাগ) ডাঃ শেখ মামুন-অর-রশিদ, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ অঞ্জন কুমার চক্রবর্তী ও আবাসিক ফিজিসিয়ান (মেডিসিন বিভাগ) ডাঃ শৈলান্দ্রনাথ বিশ্বাস রয়েছেন। এই কমিটিকে সরেজমিনে তদন্ত করে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এদিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই রহিত কুমার বিশ্বাস শুক্রবার রাতে এ প্রতিবেদককে বলেন, সন্ধানী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডাঃ সুকুমার সাহা থানায় এসে মুচলেকা দিয়ে তাদেরকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, ডাঃ সুকুমার সাহা তাদের বলে গেছেন যদি ভুল রিপোর্ট প্রমাণিত হয় তাহলে তখন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কোনো বাধা নেই।