খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন মঙ্গলবার

প্রকাশঃ ২০১৯-১২-০৯ - ১৮:১০

খুলনা অফিস : পাঁচ বছর পর একই মঞ্চে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলন। আওয়ামী লীগের শুদ্ধি অভিযান এই সম্মেলনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ফলে, যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রবীন ও নবীনদের সমন্বয়ে গ্রহণযোগ্য কমিটি দেখতে চায় তৃণমূলের আওয়ামী লীগ।
২০১৪ সালে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সবশেষ সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন তালুকদার আব্দুল খালেক আর সাধারণ সম্পাদক হন মিজানুর রহমান মিজান। দীর্ঘদিন পর আবার সম্মেলনকে ঘিরে সরব নেতাকর্মীরা। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে প্রস্তুতি। তবে নগরীর অধিকাংশ ওয়ার্ডের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও ৫টি থানার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি।

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ‘যেহেতু তাদের মেয়াদ শেষ হয়নি। তাই এই মুহুর্তে থানা কমিটি হবে না। ৩৬টি ওয়ার্ড কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে।’

অন্যদিকে ২০১৫ সাল থেকে জেলায় দলকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন শেখ হারুনুর রশিদের কমিটি। তবে সম্মেলনের আগে কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের সব কমিটি গঠনের নির্দেশ থাকলেও খুলনা জেলার ৯ টি উপজেলার মধ্যে সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে মাত্র একটির।

খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ বলেন, ‘কেন্দ্রের নির্দেশে আমরা একটি উপজেলার সম্মেলন করেছি। সেটি হলে পাইকগাছা। বাকিগুলো কেন্দ্রীয় সম্মেলন জেলা সম্মেলন হবার পর করবো।’

নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে দলে ও দলের বাইরে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নেতৃত্বে দেখার প্রত্যাশায় তৃণমূল আওয়ামী লীগ। সভাপতি পদে এবার প্রবীণরা প্রার্থী হলেও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক ছাত্রনেতারা। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অসিত বরন বিশ্বাস জানান, ‘আমি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। আমার নেত্রী আমরা বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে আমি মনে করি।’

নগর আওয়ামীলীগে সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ‘আমাকে যদি দায়িত্ব দেয়া হয়, তবে যাদের স্বপ্ন পুরণে কাজ করা উচিত তাদেরকে সাথে নিয়ে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কাজ করে যেতে চাই।’

সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম জানান, ‘শেখ হাসিনার বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছানোর মধ্য দিয়ে আগামী দিনে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করবো সেটিই আমার প্রত্যাশা।’

নগরীর সার্কিট হাউজ ময়দানে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ত্যাগী ও দলকে সুসংগঠিত করার মতো নেতা বেরিয়ে আসবে এমনই প্রত্যাশা দলের নেতা-কর্মীদের।