ঝালকাঠিতে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশঃ ২০১৭-০৯-২৫ - ১৬:২৩

মো:নজরুল ইসলাম,ঝালকাঠি : ঝালকাঠির রাজাপুরে নিখোঁজ স্বামীর ব্যপারে সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করতে গেলে এক নারীকে নানা রকম হয়রানী ও তার সাথে প্রতারণা করার অভিযোগে রাজাপুর থানা পরিদর্শকের (ওসি) বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। সোমবার সকালে শহরের সদর রোড এলাকার একটি সামাজিক সংগঠনের সভা কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

লিখিত অভিযোগে নিখোঁজের স্ত্রী মোসাম্মদ নারগিস বেগম জানান, তার স্বামী রাজাপুর উপজেলার বাইপাস মোড় এলাকার মো. খায়রুল মীর গত ৮ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হন। পরে ১১ সেপ্টেম্বর রাজাপুর থানায় স্বামীর নিখোঁজ হওয়ার সাধারণ ডায়েরী করতে যান তিনি।

পুলিশ নিখোঁজের ডায়েরী না করে নানা ভাবে হয়রানী করতে থাকেন তাকে। এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি ফের থানায় গেলে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর রাখে পুলিশ। পরে জিডির একটি রিসিভ কপি দেয়া হয় তাকে। বাড়ি ফিরে তিনি জিডির কপিটি সবাইকে দেখালে  জানতে পারেন, ‘তার স্বামী একজন মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী  এবং মাদক আনতে গেলে নিখোঁজ হয়েছে’ উল্লেখ করে জিডি করা হয়েছে। তিনি কেবল স্বাক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন হওয়ায় থানায় বসে জিডিতে কী লেখা হয়েছে তা বুঝতে পারেন নি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, পূর্ব শত্রæতার জেরে তার স্বামীকে স্থানীয় একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্র আপহরণ করে গুম করেছে বলে ধারণা করে প্রথমে তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মুনীর উল গীয়াস মামলা না নিয়ে খারাপ ব্যবহার করে তাকে থানা থেকে তাড়িয়ে দেয়। এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে ওসির সখ্যতা এবং তাদের কাছ থেকে মাসোয়ারা নেয়ারও অভিযোগ করেন নারগিস বেগম। সংবাদ সম্মেলনে নিখোঁজ ব্যক্তির বাকপ্রতিবন্ধী মেয়ে মারিয়া (১৩) ও তাসিয়া (৩) উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে করা এসব অভিযোগের ব্যপারে রাজাপুর থানার ওসি মুনীর উল গীয়াস বলেন, যে দিন ওই নারীর জিডি রেকর্ড করা হয় সেদিন আমি থানায় ছিলাম না। ডিউটি অফিসার কিজিটি নথিভ‚ক্ত করেন। হয়রানী ও থানা থেকে তাড়িয়ে দেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ন মিথ্যা দাবী করে ওসি মুনীর উল গীয়াস বলেন, যাকে নিখোঁজ বলা হচ্ছে তিনি একাধিক মাদক মামলার আসামী। অপরদিকে জিডির পরে নিখোঁজ ব্যক্তির ব্যপারে আদালতে তার ভাই একটি মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে সে মামলাটি রাজাপুর থানায় রেকর্ড করা হয়। ওই মামলার তিন অভিযুক্তকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে, বলেন ওসি মুনীর উল গীয়াস।