ডুমুরিয়ায় প্রতিপক্ষের রোষানলে সংখ্যালঘু পরিবার বিপাকে

প্রকাশঃ ২০২১-০১-১১ - ২০:৪৭

সুজিত মল্লিক, ডুমুরিয়া (খুলনা) : ডুমুরিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের রোষানলে পড়ে একটি সংখ্যালঘু পরিবার চরম বিপাকে পড়েছে। প্রতিপক্ষের বাধায় নিজের বসত-ভিটায় বাড়িঘর নির্মাণ করতে পারছে না। নিরাপত্তার আশায় ওই পরিবারটি এখন নিতে যাচ্ছে গ্রাম ছাড়ার সিন্ধান্ত।
ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার রঘুনাথপুর বাজারের পাশে চার পুরুষ ধরে বসবাস করে আসছে সাহা পরিবার। বর্তমানে ওই পরিবারের বসত-ভিটায় বংশধর হিসেবে আছেন নির্মালেন্দু সাহার দুই ছেলে কিংকর সাহা ও তার ভাই নীল কোমল সাহা। সম্প্রতি সেখানে বাড়িঘর নির্মাণের জন্য ইট বালি খোয়া এনে জড়ো করেন ছোট ভাই নীল কোমল। ঠিক তখনি এসে বাধা দেন প্রতিপক্ষ মৃত গফুর আকুঞ্জির দুই ছেলে জাফর আকুঞ্জি ও তার ভাই রেজাউল আকুঞ্জি। প্রায় ১৫ দিন ধরে ওই অবস্থায় পড়ে আছে। তবে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের দ্বারে দ্বারে গিয়েও কোন সমাধান পায়নি দুই ভাই কিংকর ও নীল কোমল। বরং স্থানীয় মাতব্বরদের জানানোর অপরাধে প্রতিপক্ষের হুংকার আরও বেড়ে গেছে। তাদের ভয়ে ওই পরিবার দুটি দিশেহারা।
বিষয়টি নিয়ে ছোট ভাই নীল কোমল সাহা বলেন, আমার বাবা, দাদুসহ তারও আগের পুরুষরা এই ভিটায় বসবাস করে এসেছে। সেই সুত্রে আমরাও এখানে বাস করি। একই ভিটায় বসবাস করেন প্রতিবেশি জাফর আকুঞ্জি ও তার ভাই রেজাউল আকুঞ্জি। কিন্তু তাদের সাথে আমাদের তেমন বনিবনা নেই। অনেক সময় তাদের অত্যাচার ও দুর্ব্যবহারগুলো প্রতিবেশি হিসেবে এড়িয়ে চলি। এরই মধ্যে প্রায় ১৫দিন আগে আমি আমার সিমানায় গাড়িঘর নির্মাণের জন্য ইট বালি খোয়া জড়ো করি। ঠিক তখনি ওরা এসে বাধা প্রদান করে। বিষয়টি নিয়ে আমরা স্থানীয় মাতব্বরদের কাছেও গিয়ে কোন সমাধান পায়নি। বরং মাতব্বরদের কাছে যাওয়ার অপরাধে আমাদের ওপর হুমকি ধামকি বেড়ে গেছে। বর্তমানে তাদের ভয়ে সেখানে বসবাস করতে পারছি না। কখন কি করে বসে এই ভয়ে আছি। মনে হচ্ছে স্ত্রী সন্তান নিয়ে অন্য কোথাও গিয়ে প্রাণে বাঁচি। কিন্তু পূর্ব পুরুষের ভিটেমাটি এই মায়ার টানে যেতে পারছি না।